কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪

০১) অমিতাভ প্রামাণিক


চারানা আটানা



৯) ইলেকশন

হৈ হৈ করে আবার এসে গেল ভোট। আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!

দ্বারে বসন্ত জাগ্রত। চতুর্দিকে দেওয়ালে দেওয়ালে বসন্তের মানে পক্সের মতোই দাগ পড়ে যাবে এখন। যে জানে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, জামাটাও শরীরে গোটা থাকবে কিনা তার ঠিক নেই, তার কোনো চ্যালাও দেওয়ালে লিখবে – অমুককে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন। সবাই বিপুল ভোটে জিততে চায়। কেননা বিপুল ভোটে জিতলে
– আহা, জানেন না যেন!




(দৃশ্য : এক)

শিমলে নারাণপুরের এবড়ো খেবড়ো রাস্তা ধরে একটা লরি এসে দাঁড়ালো এক মাঠের মাঝখানে। সেখানে কয়েকটা ভলেন্টিয়ার, তাদের বুকে ব্যাজ লাগানো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোক ধরে আনছে তারা।

- ও কাশেম মিঞা, আজ আর কাজে যেতে হবে না। চলো, আজ কলকেতা ঘুরিয়ে আনি।

- কলকেতা ঘুরিয়ে আনলি মুকে ভাত উটবে? এই যে সাতখানা পেট –

- উটবে উটবে। পার হেড ষাট ট্যাকা।

- বলিস কী? ষাট মাত্তর? উরা যে পচাত্তর করে দিল –

- উরা কী খাইয়েছিল? আমরা পুলাউ-বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছি। চলো চলো –

- ধুর আমার যাবার উপায় নেই রে। আজ কাজে না গেলে কাল থেকে রাকবে না বলেছে।


- আরে রাখো তো কাজে রাকবে না, ও রাকবে ওর বাপ রাকবে। কেলিয়ে বিন্দাবন দেকিয়ে দেব না! চলো, চলো, ঢ্যামনামি কোরো না। বউদিকে বলো শাড়ি পরে নিতে।

- শুধু আমি আর তোর বউদি? ছেলেপুলেদের নোব না?

- নাউ নাউ, সগ্‌গোলকে নাউ। বকাদা বলেচে মাট না ভরলে পয়সা দেবে না।

- উদের জন্যেও ষাট করে দিবি তো?

- আরে মেলা ফ্যাচফ্যাচ না করে লরিতে গিয়ে ওটো তো। কলকেতা ঘুরিয়ে আনচি এই তুমার কত বাপের ভাগ্যি, একন আবার দরাদরি করচ। আমি পাশের বারি যাচ্চি। ও মন্মতো-পরেশ-বিন্দাবন, বেরোলি?




(দৃশ্য : দুই)

ফুলবেড়ে হাইস্কুলের তরুণ শিক্ষক চন্দন পাশের গ্রাম অনন্তপুরের এক বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়ে সাইকেলে ফিরছিল। রাত্রি নটা, দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় কেউ পিছন থেকে ডাকল। প্যাডেল থামাতেই সাইকেলের দু’পাশে দুজন।

- আরে মাস্টার যে, পড়ানো হয়ে গেল?

- আজ্ঞে হ্যাঁ।

- পড়াতেই আসো তো? বুধো ঘোষের মেয়েটা বেশ ডবকা হয়েছে। ওর দিকে নজর দিতে আসো না তো? ওর আগের মাস্টারও কিন্তু –

- কী যে বলেন!

- আমি আর কী বলবো, যা শুনছি তাই বললাম। ও হ্যাঁ, তোমাকে বিমলদা দেখা করতে বলেছে।

- বিমলদা? বিমলদা কে?

- অনন্তপুরে পড়াতে আসো, বিমলদাকে চেনো না? এবারে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।

- ও, তা আমাকে, মানে আমি তো –

- কেন ডেকেছেন সেসব আমরা কী জানি? বড়মানুষের ব্যাপার। চলো, ঐ পার্টি অফিসেই বসে আছেন। ব্যস্ত মানুষ, এখানে কি রোজ রোজ আসবেন? আজ পায়ের ধুলো দিয়েছেন, এই ঢের।

- কিন্তু আমি তো কোনো পার্টির সাথে –

- আহা, সেসব আমাকে বলে কোনো লাভ আছে? যা বলার উনাকেই বলো না।

- রাত্রি হয়ে গেছে, বাড়িতে মা বসে থাকবে। অন্য একদিন গেলে হয় না?

- হাসালে মাস্টার। বিমলদা দেখা করতে বলেছে শুনলে এখানে যে কেউ বর্তে যায়, আর তুমি আজ না কাল করছ? ছেনালি না করে সাইকেলটা ঘোরাও। বেশি দেরি হলে আমাদের পিঠে হুড়কো পড়বে।

পার্টি অফিস মানে একটা গদিঘর। সকালে ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত হয়, সন্ধ্যেয় সব সাইড করে দেশোদ্ধার। কোণায় একটা ক্যারমবোর্ড রাখা আছে, অন্যদিন সেটা ঘরের মাঝামাঝি একটা টেবিলের ওপর সেট থাকে, তার ওপর ঝোলে একটা ষাট পাওয়ারের বাল্ব। এখন টেবিলটা সরানো, বাল্বটা জ্বলছে। নীলকমল প্লাস্টিকের একটা চেয়ারে বসে আছেন বিমলদা। বাকিরা মেঝেয় বসে।

- তুমিই চন্দন? তোমার কথা শুনেছি এদের মুখে। বাচ্চা ছেলে মনে হচ্ছে দেখে। কত বয়েস, বাইশ?

- আজ্ঞে সাতাশ।

- সাতাশ? যাহ্‌ অত হবে না। আমার ছেলেটাই তো ছাব্বিশ হলো এই আশ্বিনে, তাকে দেখলে মনে হবে তোমার বড়দা। গাল টাল সব ভেতরে ঢুকে চোয়াড়ে হয়ে গেছে।

- আজ্ঞে সাতাশই।

- সাতাশই? আচ্ছা! তোমাদের মাস্টারদের এই এক বদভ্যেস। তক্কো করতে ছাড়ো না কিছুতেই। যাই বলা হোক, অন্য একটা কিছু বলবেই। তোমরাই আবার বাচ্চাদের শেখাও, গুরুজনদের কথা মেনে চলতে। কী শেখাও না?

- আজ্ঞে তা তো শেখাতেই হবে। তবে আমি যেটা বললাম, সেটা সত্যি। আমার বয়স সাতাশ।

- আচ্ছা ছাড়ো, মেনেই নিচ্ছি তুমি সাতাশ। কিন্তু আমি যে তোমার চেয়ে বয়সে বড়, গুরুজন, সেটা তো মানো! আমার ছেলে তোমারই বয়সী।

- আজ্ঞে।

- তাহলে সত্যি-মিথ্যে তক্কো না করে ক’টা কাজ বাপু করে দাও দিকি! তোমরা মাস্টার মানুষ, তোমাদের মতো নোবেল প্রফেশন আর কটা আছে? তোমরা যা বলো, তোমাদের ছাত্রছাত্রীরা তাই শুনেই তো লেখাপড়া শেখে, জজ-ব্যারিস্টার হয়, দেশের মাথা হয়। আমার ছেলেটার লেখাপড়া হলো না, কিন্তু এই তো গোবরডাঙার ঐ যে মেয়েটা, কী যেন নাম, মাধ্যমিকে স্ট্যান্ড করেছিল, এখন নাকি আম্রিকা না কোরিয়া কোথায় থাকে।

- আজ্ঞে আমাকে কী করতে হবে?

- বেশি কিছু না। জানোই তো ভোট আসছে। এ অঞ্চলে খাটবার লোক আছে যথেষ্ট, কিন্তু মাথাওলা লোকের তো বড় অভাব। এরা কি তোমার মতো জানে, বোঝে? তুমি এদের একটু দেখিয়ে দেবে কোথায় কী দেওয়াল লিখতে হবে। শুনলাম তুমি ইস্কুলের ম্যাগাজিনের সম্পাদক, পদ্য টদ্য লেখো। তা ক’টা পদ্য লিখে দাও আমাদের ভোটের প্রচারের জন্যে। এই একঘেয়ে প্রচারে আজকাল চিঁড়ে ভিজছে না, বুজলে? এদের সঙ্গে একটু বেরোলে টেরোলে।

- কিন্তু আমার যে সময় নেই একেবারেই। স্কুলের পর টিউশানি থাকে।

- ক’দিন ওসব ছাড়ো। ভোট পেরিয়ে গেলে তারপর কোরো।

- তা কী করে হয়? স্কুলে না গিয়ে –

- আমি হেডমাস্টারকে বলে দেব। সেক্রেটারি তো আমাদের পার্টির, কোনো ব্যাপার না। আরে বাবা, ইস্কুলটাকে বড় করতে গেলে এখান থেকে কাউকে তো দিল্লীতে পাঠাতে হবে, না কি?


- আমাকে দিয়ে হবে না, স্যার! আমি এসব একেবারেই পারি না, পছন্দও করি না ঠিক।

- মাস্টার, সবাই কি পছন্দ করে সব কাজ করে? আমারই কি পছন্দ এই সব ঝুট ঝামেলা পোয়ানো? সাত পুরুষের তেলকল আমাদের, সেই করেই তো চলে যেত। মানুষের জন্যে ভাবতে গেলে কত কী করতে হয়। তুমিও না হয় করলে।

- স্যরি, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি পারব না।

- মাস্টার, এত নরম গলায় আমার কথা বলার অভ্যেস নেই। তোমাকে একটা সহজ কথা সহজ করে বলছি, তুমি শুনে সব বুঝেও ফ্যাচর ফ্যাচর করছ। শোনো, কাল সন্ধ্যেবেলা এখানে গোটা দশ বারোটা পদ্য লিখে নিয়ে এসো, দু-লাইন চার-লাইনের। পটলা, মাস্টারকে শ’খানেক খবরের কাগজ, রং তুলি দে। এক একটা পদ্য দশ পিস করে লিখে এনো, এরা সব দেওয়ালে দেওয়ালে সেঁটে দেবে। এই সবই কাজ, এ তোমার কাছে কিস্যু না। আর একটু মিটিং মিছিলে যাওয়া, এলাকার মানুষকে বোঝানো। মাস্টার মানুষ, কিছু বললে মানুষ শুনবে। বোঝোই তো! তোমার ব্যাপারটাও আমি দেখব।

- এসব আমার দ্বারা হবে না স্যার। আমার এতে বিশ্বাস নেই।

- এতে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কী আছে মাস্টার? একটা কাজ বলছি, করবে। এই যে এখানে দেখছ এদের, এরা সব পার্টির কাজ করে। এরা কি পছন্দ করবে, যদি বেপাড়ার কেউ এই এলাকায় এদের কথা অমান্য করে এখানে রোজগারের ধান্দায় আসে? তুমি রোজ সন্ধ্যেবেলা এখান দিয়ে একা একা যাও, পথে কত কী হতে পারে। বাড়িতে শুনছি তোমার বিধবা মা, একটা বিয়ের যুগ্যি বোনও আছে। নিজের ভালো পাগলেও বোঝে, তুমি মাস্টার হয়ে বোঝ না? যা বলার বললাম, এবার যা ভালো মনে কর, করবে। এই পটলা, যা মাস্টারকে এগিয়ে দিয়ে আয়।

চন্দনের হার্টবিট বেড়ে গেছে। এদের কী করে বোঝাবে, বিপক্ষের পার্টির নেতাও একদিন ধরে নিয়ে গিয়ে একই ধরনের কাজ ধরিয়ে দিয়েছে তাকে?





(দৃশ্য : তিন)


বোকাবাক্সের প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে। দাদ-হাজা-চুলকানি সারাবার অব্যর্থ মহৌষধ সেলুকস স্পন্সর করেছে আজকের প্রোগ্রাম। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভার অলঙ্কার গোপাল ভাঁড়ের বংশোদ্ভূত আজকের দুঁদে অ্যাঙ্কর ভাঁড় নভ্‌ ভূস্বামী আজ তিনজন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদারকে এক মঞ্চে ইন্টারভিউ করবেন। এরা হলেন বারেন্দ্র সোধী, বাউল নন্দী আর খেজুরি গোয়েল। ভাঁড় নভ্‌ যাকেই সামনে পান, সেঁকে শুক্তো বানিয়ে দেন। এদের কেমন সেঁকেন দেখার জন্যে জনতা উদ্‌গ্রীব। অবশ্য এই সেঁকার ব্যাপারটা শুধু উনিই বুঝতে পারেন। বাকিদের কোনো কথা শোনা যায় না। তারা কিছু বলার চান্সই বিশেষ পায় না।

মিউজিক টিউজিক বাজিয়ে ভাঁড় নভ্‌ তার ভাঁড়ামো শুরু করল – দেশের অ্যাতোতম জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ গদির তিন দাবিদার আমার সামনে হট সিটে। তাঁদের কাছে আমরা রাখব এমন কিছু প্রশ্ন, যার উত্তর জানতে উদ্‌গ্রীব সারা দেশ। হ্যাঁ, মিস্টার নন্দী, আপনারা তো পাওয়ারে আছেন এত বছর ধরে। আমাদের প্রাইম মিনিস্টার এত শিক্ষিত মানুষ, তাকে হটিয়ে আপনি কেন প্রাইম মিনিস্টার হতে চান? সারা দেশ এর উত্তর জানতে আগ্রহী। সারা দেশ এখন আমাদের এই ক্রাইম ফাউ চ্যানেল দেখছে। বলুন মিস্টার নন্দী, আপনি কেন এই হীন কাজ করতে চান? এর আগে ১৯৭২ সালেও আপনি এ রকম করেছিলেন?

- ১৯৭২ সালে?

- হ্যাঁ, মিস্টার নন্দী, ১৯৭২ সালের আঠারোই নভেম্বর টু বি প্রিসাইজ। আমাদের ক্রাইম ফাউ-এর কাছে এর প্রমাণ আছে।

- প্রমাণ? ১৯৭২ সালে আমার জন্মই হয়নি।

- বলুন মিস্টার নন্দী, সারা দেশ এর উত্তর জানতে চায়। লেট মি কাম টু বারেন্দ্র সোধী। হ্যাঁ, বারেন্দ্রভাই, আপনি যে ক্লেম করছেন যে এবারে আপনিই প্রাইম মিনিস্টার হবেন, কোন্‌ রামকৃষ্ণ পরমহংস বসে আছেন, যিনি আপনাকে স্বাগত জানাবেন এই বলে – আহা, বারেহেন এলি, অ্যাদ্দিন কোথায় ছিলি, এইসব বলে? ক্রাইম ফাউএর কাছে ঠিক এই মুহূর্তে সারা দেশ –

- ভাঁড় নভ্‌, ভাঁড়ামি বন্ধ্‌ করকে থোড়া সিধা বাৎ হো জায়ে?

- শিওর মিস্টার সোধী। আই উইল কাম ব্যাক টু ইউ। সো মিস্টার খেজুরে, আই মীন খেজুরি, হোয়াট মেক্স ইউ থিঙ্ক ইউ হ্যাভ এ চান্স? আপনার বাবা, ঠাকুরমা, তার বাবা কেউ এই গদীতে বসেন নি, আপনি দিল্লীকে গুজরাট বানাতে পারেন নি, তবে? সারা দেশ এই মুহূর্তে –

খেজুরি গোয়েল মুখ খোলার আগে ভাঁড় ফের আর একটা প্রশ্ন শুরু করতেই দর্শকাসন থেকে মৃদু গুঞ্জন উঠল। মাথায় সাদা টুপি পরা একজনকে দেখা গেল খুব বিচলিত। সেদিকে ক্যামেরা ফোকাস করতেই তাকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন গেল, ইয়েস, দেখুন সারা ভারত এই মুহূর্তে ক্রাইম ফাউয়ের কাছে জানতে চাইছে এর উত্তর, হ্যাঁ, কীসের উত্তর জানতে চাইছে মিস্টার –

- যা যারে। মাই নেম ইজ ‘আর না, যা যারে’। আই স্ট্রংলি প্রোটেস্ট দিস। নোবডি ইজ আন্সারিং এনিথিং। দে উইল বিকাম নেতা? ছোঃ, আই ওন্ট অ্যালাউ দিস। আই উইল স্টার্ট অনশন। এখানেই আমি হাঙ্গার স্ট্রাইক করব।

অমনি দর্শকাসনের আর এক প্রান্তে লুকিয়ে থাকা সাদা থান পরা এক মহিলাকে দেখা গেল ভারতের পতাকা নাড়িয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। চেঁচিয়ে বললেন, আমার নাম আতঙ্কিনী বাজরা। আই নো দ্যাট অনশনকারীর দৌড়। চারদিন অনশন করেই উনার দম ফুরিয়ে যায়। আমি পুরো এক সপ্তা বারের উপোষ করি, কিস্যু হয় না। ওদের সব কিছুতেই ন্যাকামি।

ভাঁড় নভ্‌ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে মাইক নিজের হাতে তুলে নিলেন।

ভাঁ ন – সো মিস্টার নন্দী, আই মীন সোধী, হোয়াট ডু ইউ থিঙ্ক, ইন্ডিয়া উইল বিকাম গুজরাট?

সোধী – হোয়াট্‌স্‌ রং উইথ দ্যাট? জাতিক জনক তো গুজরাটেই –

নন্দী – ইজ দিস কোশ্চেন ফর মি?

খেজুরি – ইউ আর নট আস্কিং মি এনিথিং। মাই ম্যাঙ্গো ইস গেটিং ড্রাই। মাই ব্রুম–

ভাঁড় নভ্‌ – থ্যাঙ্ক ইউ জেন্টেলমেন, ফর ইওর ভিউজ অন ন্যাশন্যাল টিভি। লেট মি টেক এ কুইক ব্রেক অ্যাট দিস জাঙ্কচার। ইউ আর ওয়াচিং সেলুকস প্রেজেন্টস্‌ -

যাহ, কারেন্ট চলে গেল! টিভি অন্ধকার। কী মনে হচ্ছে, দেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল?

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন