কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

০৭) সানাউল্লাহ সাগর

অবসর

তোমরা জানিয়ে দিও হাঁপিয়ে ওঠা সাদা ভাষণের গল্প
আজ ছুটির দিনে আমি আর মুখ খুলবো না।
যন্ত্রণা আসক্ত সিলেবাসে সিলগালা করা আছে
কালোব্যাচ পরিহিত রোমিও তুমিও এখানেই দাঁড়িয়ে থেকো
পথ আর মতে যেন অদৃশ্য না হয়ে যায় যোগফল।
আর এই যে কৈতম বিক্রেতা আপনিও শুনুন
গত বছর থেকে তাবিজে মৃত্যু ঘুরে চিৎকারের দূরত্বেই থাকবেন।
এই ফাঁকে ঈশ্বরের সাথে আমিও একটু জিরিয়ে নিই।



অবরোধ

বিকেলগুলো নরম কোলবালিশের মতো বসে আছে বুকের মধ্যে। বাস্টপের দৃশ্যান্তরে উল্টে যায় রোজকার সিনেমার ভেঁপু। ভার্সুয়াল ডিগবাজীতে মসৃণতা হারিয়েছে বাতিঘর।

সন্ধ্যা, সে তো মাঝ রাতেরই মাসি। কেবল সকাল ভাইপোকে নিয়ে ঝামেলা। দুপুরের রূপের খেলা দেখে উবে গেছে অলস ঘুম। এখন বিকেলের কোলবালিশ আর কোলবালিশের বিকেল বুকের মধ্যে খেলা করে।



যতিচিহ্ন

কোথাও কেউ জেগে নেই নন্দিত আখ্যানের চরিত্ররা। রৌদ্রসঙে উদাসীন হয়েছে আলোপ্রাণ। পুরনো পুস্তক বিতানে একাকিত্বের মহত্ব নিয়ে তাকিয়ে আছে মেঘনাদবধ। সামনে আরো কতো পথ, বমি থামলে নিকানো পথে হাঁটবো।

জীবনানন্দ সড়কে যেতে যেতে, জীবনবাবু বাড়ি আছেন?



ফেইক আইডি

কার শরীরে জড়িয়ে পড়বে আলোহীন ছায়া; মেঘ রাজ্যে এতিম বরফের পাশে আমিও যে উপবাসী। কূলে কূলে সাঁতরে সমুদ্রের কী আর চেনা যায়! যদিও চোখের অতলে ডুবিয়েছি ছেঁড়া আসবাব। মিহি স্পর্শে ভয়রঙা অন্ধকার তুমিও জেগে আছো! কি বিনিময় আছে এসবের? লালশব্দে মুছে দিলাম পিছনের আয়না, এবার ইচ্ছে মতো ঘুড়ি ভাসাও। ঘড়ির কাঁটা গুনে অতি সাবধানে আসছে ভোর। আমি খালি চেয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। শেষ রাতে এ্যাম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়ে তার অসুখের কথা জানিয়ে গেলো...

প্রিয়তমা, তুমি ভালো আছো তো?

1 কমেন্টস্: