কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০১৪

কালিমাটি অনলাইন / ১৭



সম্পাদকীয়

 

‘কালিমাটি অনলাইন’ ব্লগজিনের নতুনতর সংখ্যা যখনই আমরা প্রকাশ করি, মনের মধ্যে একটা আনন্দ-শিহরণ তির তির করে কাঁপতে থাকে। মনে হয়, যে লেখা ও ছবিগুলি প্রকাশ করা হলো, তা নিশ্চয়ই ছুঁয়ে যাবে প্রতিটি পাঠক-পাঠিকার মনন ও মস্তিষ্ক। তাঁরা সোচ্চারে জানাবেন তাঁদের ভালোলাগা-মন্দলাগার কথা, তাঁদের সুচিন্তিত অভিমত ও পরামর্শ। আসলে যাঁদের লেখা এবং শিল্পকর্মে সমৃদ্ধ হয়ে প্রতিটি সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে, সব পাঠক-পাঠিকারা হয়তো উপলব্ধি করতে পারেন না, সেই লেখা ও শিল্পকর্মের নেপথ্যে লেখক ও শিল্পীদের কী বিশাল চিন্তাভাবনা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, মেধা, শ্রম ও সময় ব্যয় করতে হয়েছে। সৃষ্টির আনন্দে তাঁরা একদিকে যেমন সৃজন করে গেছেন, অন্যদিকে তেমনি অকাতরে যুগিয়ে যাচ্ছেন পাঠক-পাঠিকাদের জন্য পাঠের আনন্দ এবং মনের রসদ। আর তাই স্বাভাবিক কারণেই তাঁদের প্রত্যাশা থাকে পাঠক-পাঠিকাদের অভিমতের। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক তাঁদের সেই প্রত্যাশা আজ পর্যন্ত অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।
‘কালিমাটি অনলাইন’ এই সংখ্যায় প্রকাশ করা হলো কবি স্বদেশ সেনের ওপর দুটি লেখা। আমাদের অত্যন্ত প্রিয় ও আপনজন স্বদেশদা প্রয়াত হয়েছেন গত ৫ই মার্চ। কিন্তু বলা বাহুল্য, আমরা বাস্তবিক পক্ষে তিনি ‘প্রয়াত’ বলে মনে করি না। বরং আমরা ভীষণ ভাবে বিশ্বাস করি, স্বদেশদা তাঁর সামগ্রীক সৃষ্টি নিয়ে বেঁচে আছেন আমাদের সবার মধ্যে, প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন নতুন আরও নতুন সৃষ্টির জন্য, সাহিত্যে নিত্য নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষায় উৎসাহ দিয়ে চলেছেন সমানেই। আর  আমাদের এই বিশ্বাস থেকেই, তাঁর তথাকথিত প্রয়াণের পরও উপদেষ্টা মন্ডলীতে তাঁর নাম আছে এবং থাকবে। প্রসঙ্গত জানাই, পরবর্তী সংখ্যাগুলিতেও স্বদেশ সেনের ওপর লেখা প্রকাশ করা হবে। আপনারা যদি তাঁর ব্যক্তিত্ব ও সৃষ্টি সম্পর্কিত কোনো লেখা পাঠাতে আগ্রহী হন, আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব।
আপনাদের কাছে আরও একটি নিবেদন, ‘কালিমাটি অনলাইন’এ আমরা একটি ‘বিতর্ক’ বিভাগ শুরু করতে আগ্রহী এবং এই বিভাগে কোনো একটি বিষয় ও ভাবনার ওপর আপনাদের যোগদান একান্ত ভাবে আশা করছি। আপনারা নিজেরাই ঠিক করে নেবেন, কোন্‌ বিষয় ও ভাবনার ওপর বিতর্ক জরুরি, আর সেই বিষয় ও ভাবনার ওপর একটি সংক্ষিপ্ত গদ্য আমদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। আমরা বিতর্ক বিভাগে তা প্রকাশ করব এবং তার পরবর্তী সংখ্যায় সব পাঠক-পাঠিকাদের সেই বিষয় ও ভাবনার ওপর তাঁদের অভিমত পাঠানোর জন্য আহ্বান করব। কেননা আমরা বিশ্বাস করি, সুস্থ বিতর্ক মানুষকে সৎ, সুন্দর ও শোভন হতে সাহায্য করে এবং তাকে মানবিক হতে প্রেরিত করে।


আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ই-মেল ঠিকানা:

 
প্রয়োজনে দূরভাষে যোগাযোগ করতে পারেন:                       

0657-2757506 / 09835544675                                                          

অথবা সরাসরি ডাকযোগে যোগাযোগ :

Kajal Sen,
Flat 301, Parvati Condominium,
Phase 2, 50 Pramathanagar Main Road,
Pramathanagar, Jamshedpur 831002,
Jharkhand, India

     
    

<<< কালিমাটির কথনবিশ্ব >>>


০১) শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ


শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

রাত্রি হলে আলো না জ্বালালে তার কিছুই থাকে না

দেবোত্তর সম্পত্তির মতোন বাংলা ভাষা পড়ে আছে। যার সম্পত্তি তার রক্ষণাবেক্ষণে  আগ্রহ নেই। আবার কর জোটে না বলে প্রশাসনেরও কিছু যায় আসে না। ব্যাঙের ছাতার মতোন মধ্যবিত্ত আর ইংরেজী মাধ্যম ইস্কুল বেড়ে চলেছে। ইস্কুলে একবার  ঢুকলে শেষ অব্দি গাঁটের যথাসম্ভব কড়ি খরচ করে ডাক্তার, ঞ্জিনীয়ার এই সব  সংশাপত্র নিয়ে বেরোবার আয়োজনও সম্পূর্ণ। যাঁরাই মন্টেসারি বা প্লে ইস্কুল খোলেন,  তাঁরাই আবার অন্য নামে ইঞ্জিনীয়ারিং বা ডাক্তারির বেসরকারী কলেজ খোলেন। কিছু না হলে শিক্ষক শিক্ষণের কলেজ খোলেন। সব খোলে, কিছুই পরা হয় না, পড়া হয় না। বাংলা ভাষার থেকে বাংলার ধন-সম্পদ অর্জনকারী সন্তানেরা দূরে প্লেনে উড়ে-টুড়ে যায়।

মালদহের একটি কলেজের অভিজ্ঞতা না বলেই পারছি না। বাংলার দিদিমণি প্রশ্ন করেছেন, পাশ্চাত্য সাহিত্যের সেরা ছোট-গল্পকার কে? প্রশ্নটি অত্যন্ত বোকা বোকা,    পরীক্ষাগুলো যা সারা বছর হয়ে থাকে চাকরি ইত্যাদির জন্য, তেমন বাইনারি  স্বভাবের। উত্তর অসামান্য। একঘর শিক্ষক-শিক্ষিকা। এঁরা একেকজন আট-নয় বছর প্রাথমিক শিক্ষা দিচ্ছেন বিভিন্ন ইস্কুলে। এ ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছেসবশেষে  একজন উঠলেন। তিনি অপেক্ষাকৃত তরুণ। সম্পন্ন কৃষক পরিবারের সন্তান। বাইকে করে আসেন। ক্লাসের মধ্যে সব চাইতে তরুণী হলেন যে শিক্ষিকা, ক্লাস নিচ্ছিলেন  তিনি। তো সম্ভবত তাঁকে ইম্প্রেস করতে তাঁর ওঠা। খুব গম্ভীর গলায় বললেন,
- সত্যজিৎ রায়!
অধম কলমচি সেই ক্লাসে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পেশার সূত্রে কিছু কলেজ, ইস্কুল, সংস্থা অধমকে ডেকে থাকে বিহেভিয়ার‍্যাল ব্যাপার স্যাপার শিক্ষা দিতে। তো সে সমস্ত শিক্ষা দিতে গিয়ে যে শিক্ষা পেতে হয়, তা কম কিছু না। গ্রাম  বাংলা ও মফস্বলের শিক্ষক সমাজে সকলেই এমন, তা অবশ্যই নয়। কিন্তু এই মুহূর্তে   যাঁরা পড়াচ্ছেন, তাঁদের হাল যে খুব উন্নত, তা বলতে সাহস হয় না।

কথা হচ্ছে ধান ভাণতে শিবের গীত কেন! আজ্ঞে খুব সামান্য কারণে। সত্যজিৎ রায়, যাঁর উপরে প্রচারের আলো সর্বদাই রয়েছে, বাঙালির দুষ্প্রাপ্য আইকনগুলোর মধ্যে সগৌরবে একজন যিনি, তিনিই যদি পাশ্চাত্য সাহিত্যের সেরা ছোটগল্পকার হয়ে  যান, তাহলে স্বদেশ সম্পর্কে আমি কীই বা লিখি!

আলো-টালো খুব তো পড়েনি। থাকতেন কলকাতা থেকে দূরে। ভূগোলে ও মননে। কলকাতার দাদা-দিদিদের তিনি কত দরিদ্র, তা বলে করুণা কুড়োননি। আহা, তিনি  বঞ্চিত, তাই সংরক্ষণ দরকার বলেননি! তাহলে বহুল প্রচারিত কেন তাঁর প্রচার  করবে? একদা বাম ছাত্ররাজনীতির মানুষ। কবিতার যাত্রাতেও কিছু অন্য সন্ধানে মগ্ন।

উপনিবেশের দিন-কালের পর থেকেই একটা ভাবনা খুব বেশি মাত্রায় প্রচলিত। যখনই কোনো মাধ্যমে কোনো নতুন কিছু ঘটে, তখনই ভাবনাটা আসে, এটা তাহলে ইউরোপ  থেকে নেওয়া। ভাবনাটা এত স্পষ্ট করে এসেছে এই ঔপনিবেশিক যুগেই। নেওয়া-নেওয়ি তো সভ্যতারও আগের বিষয়। এটা না হলে তো অন্ধ-আতুর এক পৃথিবী হতো মানুষের। তাছাড়া সময় তো কাউকে ছেড়ে যাচ্ছে না। সকলের পিঠে সমান চাবুকের দাগ আছে। কেউ ব্যথা পায়, কেউ পেতেও ভুলেছে।

স্বদেশ সেনও বরিশালের, সেই জীবনানন্দের মতোন। বাংলা কবিতায় ইউরোপের  ধারার কথা বলেছেন সহজ করে। ইউরোপ এসেছে বিষ্ণু দে-র উল্লেখে। জীবনানন্দে  চিন্তায় এবং রূপে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কিটস, বায়রণ, শেলী গুলে খেয়েও ঔপনিষদিক রয়ে গেলেন। ভাবার মতোন কথা। বলেছেন, বাংলা কবিতা গড়ে উঠেছে ছেলেমানুষী   জাম্পকাট সিস্টেমে। ইউরোপীয় কাব্য আন্দোলনের অনেকগুলো ধারা লাফিয়ে ধেবড়ে একটা জায়গায় পৌঁছতে চেয়েছে। তাহলে ভেতর থেকে আসেনি বদল! এসেছে বাইরের চাপানো রঙে। তো সে র তো খসে যাবেই। বোধহয় গিয়েওছে একরকম তাঁর  চোখে।

অন্যত্র নতুন কবিতার সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, শব্দ সম্পর্কে, বাক্য সম্পর্কে  আরো চিন্তার দরকার। বাক্যটাকে আমরা ভুলেই গেছি প্রায়! পরম্পরাগত কবিতায়  বাক্য প্রধান, পংক্তি প্রধান একটা ব্যাপার ছিল। সব মিলিয়ে একটা ব্যাপার হতো, তা থেকে অনেক কিছুকে বাদ দিয়ে দিলেও বাক্যকে এত অবহেলা করা চলে না। শব্দের দিকে এত বেশি নজর চলে যাচ্ছে, বাক্যর ভাবনা ভাবা হচ্ছে না। 

তবে কি চমকপ্রদ পংক্তির কথা বলেছেন? হ্যাঁ এবং না। চমক তো থাকবেই।  ভালো লাগে বলেই সেগুলো চমকপ্রদ। কিন্তু টোটালিটিও থাকবে। বলতে গিয়ে একটা ক্রাইসিসের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। চারপাশে তো এখন যে সময়, তাতে কোনো কিছুই  ডেফিনিট না। চমৎকার লেছিলেন  বারীন ঘোষাল। একটি ছেলের দশটায় আসার কথা থাকলে সে একটাতে আসতেও পারে, নাও আসতে পারে। বারীন ঘোষাল কিন্তু দশটা বললে সোয়া দশটাতে অন্তত আসবেনই। অর্থাৎ একটা যাত্রা এবং তার গন্তব্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট চেহারা স্বদেশ সেন বা বারীন ঘোষালের আছে। কিন্তু যাদের নেই? তাদের কবিতা তাহলে কী হবে? এমন অনির্দিষ্ট?

তা নয়! তা তো হবার যো নেই। ছেলেটি এখানে এলো না, কিন্তু কোথাও গেল।  কোথাও যদি না যায়, তাহলে যেখানে ছিল সেখানেই রইলো। শারীরিক পথের বদলে  সে একটা সময় অতিক্রম করলএবং সময়! এই কাঁটাটাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ক্ষমতার বাইরে তার। শৈশব, কৈশোর, যৌবন হ্যানো-ত্যানো হয়ে মৃত্যু। আছে তো যাত্রা!

স্বদেশ সেনের কবিতায় আছে। বিষয় এবং যাত্রার দুচার কথন।

...তোমার পুঁজি ভাঙা
আর দেনা শোধের কষ্টই এক বিষয়
আমার বিষয় আমার অঙ্গুলি হানি
শুকনো জলের শুকিয়ে আসাই এক বিষয়
আমার বিষয় মৃত্যু
-- বিষয়

পুঁজি ভাঙার গল্প যায় দেনা শোধের দিকে। আঙুল থাকার গল্প যায় না থাকার দিকে। জলের গল্প শুকিয়ে যাওয়াতে যায়, জীবন মৃত্যুতে! তাহলে যে ইনডেফিনিট সে চিনতে পারছে না বলে অমন। যে ডেফিনিট সেও যে সব চিনলো এমন নয়যা  চিনলো তাই। কিন্তু যা চিনলো তাই কি শেষ?

না। স্বদেশ সেন, তাঁর কথা সূত্রেই সিরিয়াস লেখালিখি পঞ্চাশের মধ্যভাগে করছেন  শুরু। তো সেই মাননীয় স্বদেশ সেন, অনুচ্চকিত স্বদেশ সেন ডিটারমিনিস্টের কোট পরে ঘুরছেন না।

না হওয়া মানুষ তার খোলা আয়নাতেও উঠে আসে না 
এখান থেকে শুরু হয়েছিল।
বৃষ্টিতে আগমন ক'রে এসে ফিরতে হয় কাদানো মাটিতে
কথা এই যদি দুঃখের চাল তবে সুখের ভাত হয় না।
কেন রে দুলাল হয়ে উঠিস না?...
-- অভিমান   

কী এক উৎসবের তো বৃষ্টি এসেছিল, যে বৃষ্টিতে আগমন হয়, সাদা বাংলায় আসা হয় না প্রতিদিন থেকে বিশেষকে পৃথক করতে এই আগমন আর আসার রদবদল। অথচ তাতে যাওয়া তো হলো না। ফিরতে হয় কাদানো মাটিতে। উৎসব শেষ, উৎসব ব্যর্থ। কেন রে দুলাল হয়ে উঠিস না? মমতাময়, যে নিষ্ঠুরতা অপার,  তাকে সহনীয় আটপৌরের ছাঁদে আপনিই বাঁধতে জানেন। স্বদেশ সেন, মায়ের মতোন স্পর্শ করে যান


না যেমন সিনকোনা গাছে তার সিনকোনা হ না”
-- অভিমান

অথবা

তা হলে বড় করে হ না - ভালো করে হ না কিছু?
বড় অভিমান হ, কিছু অভিমান হল বড়
-- অভিমান

তাঁর অনেক বছর পরে, সত্তর দশকের পরে লেখা শুরু করা আদিলিয়া লোপেজ Elizabeth Doesn’t Work Here Anymore-এ লিখেছিলেন,
“Once I was beautiful now I am myself”

গভীর অভিমান, পরিতাপের সঙ্গে মিশে কোবাল্ট ব্লু বানিয়ে তোলে। স্বদেশ সেন কবিতায় নিজের ভাষা খুঁজেছিলেন। মৌলিক ভাষা। নিজের মতোন লিখতে হবে এবং   তার কোনো ব্যাকরণ নেই। পরম্পরাকে পাঠও করেছিলেন নিজেকেও জানতে। বদল হয়েছে নিজের মধ্যে। পড়াগুলোর মধ্যে থেকেই কিছু কিছু পাওয়া এবং বদল। সে চলা থামেনি সত্তর পার করেও। বলেছেন, লেখার সময় তরুণ কবিদের লেখাই পড়েন।  লেছেন, তিনি যে পরবর্তী প্রজন্মকে এতোটা খুঁটিয়ে দেখছেন এর মধ্যেও চিরকালীন  সেই আমার সময়ের মতোন কিছু হয় না মানসিকতাও থাকতে পারে। নিজেকেও  সন্দেহ করেছেন। কিন্তু সন্দেহ তো শুধু সন্দেহর জন্য নয়! তার আরো আরো কারণ  আছে।

আনন্দে, দুঃখে, জীবনের নানা মুহূর্তে গানের বা কবিতার একটা লাইন ঝিলিক দিয়ে  যায়। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ ঝিলিক দিয়ে যান। কিন্তু তেমন করে যদি লাইন ঝিলিক না দেয় আজকের কবিদের, তাহলে কী করে হবে? কবিতা শুধু শব্দসম্ভার  নয়তার বেসিক চাই। যা শুধু একটা বক্তব্য নয়একটা অনুভূতিও জাস্ট। কোনো   কবিতা গায়ে এসে লাগছে না, স্পষ্টতার অভাবের জন্য চামড়ায় গিয়ে লাগছে না। লাগলে খুশি হতেন।

স্বদেশ সেনের ভাবনা যদি ভাবায়, যাঁদের ভাবাবে, তাঁদের যেন এ বাংলা ভাষা দেবোত্তর সম্পত্তি না হয়! তাহলে দিনের বেলা শেষ হলেই অন্ধকার।

অনেকের মনেই কথা সম্পদ, লতে চাওয়া ফুল্লতা ও সুখ 
রাত্রি হলে আলো না জ্বালালে তার কিছুই থাকে না
-ব্যান্ডেজ