কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

০৪) কচি রেজা


 
অবিশ্বাস বেড়ালের নূপুর

প্রতিদিন যে-বেদনা প্রদক্ষিণ করি তাকে প্রশ্ন করেছি যখন আমার   
আঙুল থেকে ধুয়ে ফেলেছি আগুন তখন কেন জ্বলে উঠেছ?   
আর খেরো খাতায় বছরের পর বছর যে-নীল হিসেব আমি জমা  
রাখি, সে অন্ধকার তুমি পড়তে পারোনি অন্ধ?
এখন কোষ্ঠী হারানো ক্ষতে ভুল করে তক্ষক ডেকে উঠলে   
নূপুরগুলো খুলে খুলে যায়, দুপুর হারানো বালিকার শরীর অবশেষে  
বিতর্কিত দর্শন? জীবনভর কিছু অপরাধ মানুষই করে, আমিও   
পার হয়ে আসি ঝড়-জল মাপা আঙুল, এখন ছায়ারা অপেক্ষা করে না,   
আমিও মনোনিবেশ করি বিষ্ময়ে, যমুনায় সর্বনাশ বেজে উঠলে  
রাত্রির শরীরে কবে জমেছিল এত নুন? আরো একবার দেখতে ইচ্ছে   
করে শরীরে বেড়ে ওঠা তক্ষক, ছায়া অঙ্কুরিত হয়েছে কতটা,  
টেবিলে আনমনা পড়ে থাকে দুটি মাত্র হাত, জানতে ইচ্ছে করে,  
এখন তুমি রবীন্দ্রনাথ পড়ো না পড়াও?



আমার মৃত্যুসংবাদ

আমার মৃত্যুসংবাদ লেখা হচ্ছে পাখিদের ভোরের দৈনিকে
বিষাদ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি, নদী সম্পর্কিত নিঃশ্বাস আমার ও,
আমিও আটকে গেছি একেকটি জানালায় 
কি যে অসম্ভব এই বোতাম
অথচ জানা ছিল আগের জন্মেও আমি আত্মহত্যাই করেছিলাম
আসলে বড়ো বেশি পাথরপ্রবণ আমরা আর যখন ছাপা হচ্ছে
মৃত্যু আমি তবু সতর্ক করি মৃত্যুকেই
মাত্র তো একটা জীবন, মৃত্যু অভিমুখী অবিশ্বাস কি দিচ্ছি না
পাখিদের



দেখ হে চোখ

দেখ হে চোখ
যে গাছটি ঝুঁকে আছে সে দেখছে মৃত্তিকার নাভি

এসো কিছুদিন  যাদুকর হই
লতা হয়ে শিকড়ে ফিরি
খুব উঁচু থেকে দেখি মানুষ  
পাখিই বা কতটা অনুভূতিময় 

খুব বেশিদূর  যেতে পারব না 
শহরের কবরগুলো ভরে গেছে বৃষ্টির জলে 
মরে গেলে স্নানের প্রশ্নও আসে না
তবু বৃষ্টি দেখতে দেখতে সংঘটিত করি স্বেচ্ছামৃত্যু

অল্প দামের এই জীবনে একমাত্র মৃতকে ঈর্ষা হয় আমার



আমাকে বাঁশি হয়ে আর জন্মাতে বলো না

গাছ কি আদর পেয়ে ফুঁপিয়ে ওঠে, কতদূর চলে যাবার পর
ঘনিয়ে ওঠে ইশারা, বুঝতে পারে না আমার পুরনো কাপড়চোপড়  
কাপড়ের ভিতরে যে প্রাণের সম্পর্ক তার সামনে ঘন হয়ে দাঁড়ায় রেলিং

একটি জলের ছায়া, ছাদকে কি বলা যায়, লতানো গোলাপ  
গোলাপ ভাঙলে আমার কোনোদিনই মা' মনে হয়নি  
 
আমাকে বাঁশি হয়ে আর জন্মাতে বলো না তাতে কুয়াশায় ভিজে কত যে  
চওড়া এই গূঢ় বেদনা  

একথা বলেছি সেদিন ঝিঁঝিঁটাকে এই যে আমি ফল পাড়তে গিয়ে  
তোমাকে দেখি, তোমাকেও দেখাই,  

মাঠ কুড়াতে কুড়াতে চলে যাই তারপর


তুমি কি মাঝি ডেকেছিলে? হঠাৎ নৈঋত দিকের বাতাসে
ঘোমটা  জলে পড়ে গেল 
ফিরে তাকালাম তুমি অবাক, বাতাস যেন বললো
আমি স্বপ্ননদীর মাঝি গো--

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন