কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

১২) আসমা অধরা



আসমা অধরা

অভ্র স্মারক
মৃত্তিকা নির্যাস সহযোগে অসচ্ছ তরল মিশ্রিত বিনির্মানেই আমার আমি'র সৃষ্টি...

মানবী বলেই অমরত্ব পাওয়া যায় না, অসাধারন ভাবে সাধারন আগুনে পুড়ে যাই, কদাকার আদলের আগে দর্পণ দ্বিখন্ডিত হয়ে যাবার পর অসাঢ় আঙুল অবলম্বনে শৌখিনতাদের আর আঁকা হয়নি

অতঃপর স্বীয় তনু ছায়াও সরে যায় চতুর শিকারীর মতন... শেষ সীমান্তে অতল নিদ্রায় এক নিপুন কারিগর কেবল কিছু অদ্ভুতানুভব স্বপ্ন এঁকে চলে অবিরাম


পুনরায় কাচফ্রেম
ফিরে যাবার তাড়া, পৃথিবী মাড়িয়ে যতটা নোংরা মেখে যায় আটপৌরে জীবনে; মোহে-নির্মোহে শিরা-উপশিরায় ততই নিধনের ক্ষতরা বাড়ে

গ্যাংগ্রিন- পুঁতি গন্ধময়তা; আর দেবদূতের মতো রৌদ্ররা খেলে বেড়ায় আকাশের গায়ে... দগ্ধ পৃথিবীর কান্নায় কোনদিন কিছু যায় আসেনি তার

উপাসনায় মুখস্থ বিদ্যা বেঁকে বসে- যজ্ঞে উপকরন ছুটে নিয়মিতবারো পর্যন্ত গুনতে শেখা বালিকা সারাজীবন কেবল নির্দিষ্ট সূর্যমুখীই গুনে যায়


দিনপঞ্জি
এখনো সেই কামরায় জমে থাকে তীব্র শীতমরে আসা রেশমের গুটির মতো খোলস ছাড়ে না সবুজেরাকেবল বিছানার পাশে বসন্ত জমিয়ে রাখা একমাত্র লেমিনেটেড পোষ্টার আর পর্দা চুঁইয়ে পড়া পুরনো স্মৃতিদল...

কারণ ছাড়াই কতদিন মাথার ওপর ঝরে পড়া ফুলেল পাপড়ির রেখা আঁকা পথ ধরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি সেই বাড়ীটার সামনেভাঙাচোরা- পরে জানলাম ওটার নাম কৃষ্ণচূড়া

বর্ষীয়সী রমনীকূল বিগত হবার পর সাবেকী ছবিগুলোতে যতই কার্বনের ছাপ দিতে চাইলাম- কোনটাতেই আলতা পরানো যায় নিতবুও সাদাকালোর ক্যানভাসগুলোই বিকে যায় শতাব্দীর জলেস্বরে

সান্দ্র স্পর্দ্ধা
সারি সারি পিঁপড়ের দল, নদীর কাছে গিয়েই কালো কালো ঘোড়া হয়ে গ্যালো হ্রেষাধ্বনিতে মুখ খুলতেই বের হয়ে আসে ঝাঁক ঝাঁক লিলিপুটিয়ান প্রাগৈতিহাসিক সৈন্য, ধনুক বেঁধে বর্শা হাতে চলতে থাকে পানির ওপর

অশ্বসমারোহ এবারে উড়তে শুরু করে মিশে যায় ছাইরঙা বাদল মেঘে- তেমনি আকারেই উড়ে যাচ্ছে পুঞ্জীভুত জলকণা দক্ষিন থেকে উত্তরে

অপেক্ষা কেবল একটি তুখোড় হিমালয়ের, পৃথিবী কাঁপানো বজ্রের আর প্রিয় বর্ষনপদ্মপাতায় আশ্রয় খুঁজে নিক বিগ্রহ সৈনিকেরা

কল্প-পোস্টার
লিখে রাখা সমস্ত পাণ্ডুলিপিরা আগুন লুকোয় শরীরেযদিও আজ সন্ধ্যার প্ররোচনা বলে আবহাওয়া স্কেল ভেঙ্গে গ্যাছে ঝড়ে

তবুও বিদগ্ধ অক্ষরের গা বেয়ে ঝরে শীতল জলকণা4B পেন্সিলের নীবটুকু সামান্যতেই ক্ষয়ে গিয়ে- রয়ে গ্যাছে অর্ধ ইনভার্টেড কমা'র ভেতর মুক্ত রামধনু

যে কিশোরীর অর্ধমুখ তৈলচিত্র সমাপ্তির অপেক্ষায়; মাঝ রাত্তিরে তার ঠোঁট নড়ে ওঠেআলো জ্বালতেই ইজেল ভেসে যায় লালের বন্যায়

এমন ছবি কোথায় সাঁটা যায়, অহম?




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন