কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

০৬) শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ


টুকরো সোনাটার পাতাগুলো



ভেতরে কিছু ভেঙেছে, শব্দহীন, বাক্যগুলো উড়ে গিয়েছে। সাদা বরফের স্তুপ হয়ে আছে কাঠামো। নাস্তিকের মন্দির অথবা। জিগজ্যাগের পাশ দিয়ে যে কাপাসতুলো আমাজনের আরো আরো অন্দরে সেঁধিয়েছে, কালো কালো হাতে উঠবে বলে, দাসেদের সেই সাম্রাজ্য যা হবে না। এদিকে বাদামী হয়ে আছি বলে খুঁতখুঁতে ভাব একটা। সিঁড়ির পাশ দিয়ে একটা অন্ধকার উঠে গিয়েছিল। ছাতের গায়ে লেপ্টে আছে। ষড়যন্ত্রের আলো নামছে সপ্তমীর জানালা বেয়ে। প্রতিক্রিয়া ক্রিয়ার বাইরে চলে গেল  ব্রহ্মান্ডে। তা ঠিক না, প্রসারণশীল হলো প্রতিক্রিয়া।

একটি নারীর কথা ছিল বাক্যে। অথবা এক চুম্বনের কথা।

“Written kisses don't reach their destination, rather they are drunk on the way by the ghosts.”

লেটারস টু মিলেনা...

দূরত্ব একটি নষ্টামির সূত্রপাত। লিখলাম চুমু, কাগজে পুরনো হলো, টকে গেল হাতের ঘাম লাগলো। জবুথবু হলো। কাগজের খামে, ডাকবাক্সে ক্ষয়ে যেতে যেতে যখন গিয়ে পৌঁছোলো, তখন প্রাপক বদলে গিয়েছে। যাকে লিখেছিলাম, যে পেল, দুজনে কোথাও  এক মানুষ নয়

"অবান্তর স্মৃতির ভিতর আছে
তোমার মুখ অশ্রু-ঝলোমলো
লিখিও, উহা ফিরত্‍ চাহো কি না?"

"Sometimes I have the feeling that we're in one room with two opposite doors and each of us holds the handle of one door, one of us flicks an eyelash and the other is already behind his door, and now the first one has but to utter a word and immediately the second one has closed his door behind him and can no longer be seen."



দরজার মধ্যে দিয়ে রাস্তা যায়নি। রাস্তার উপরে দরজা এসে দাঁড়িয়েছে। দরজা আসার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্বচরিত্রেরা হাজির দেওয়াল
, জানালা, মেঝে সেজে। এ ভাবে পাথর তৈরি  হলো। বাক্য গড়ে ওঠার আগে সংসার সেজে বসলো।

যে যাকে যেমন ইচ্ছে গড়ে তুলতে শুরু করলকে কেমন সে তোয়াক্কা কে করে! হাওয়া আছে, রঙ আছে, সেফটিপিন, বেলুন, চিউয়িংগাম, ছাঁট কাগজ, গার্ডার, পাটের দড়ি - তৎপরে কবিতাগুচ্ছ। ডার্করুমে ডেভেলপমেন্ট। টেটেনাল সি ফোর্টি ওয়ান কাজ করছে। আলো চলকে গিয়েছে এবং দুর্ভিক্ষ হাজির খাবার নেই, হাজারে হাজারে মরছে।

এখান থেকে কোণার্কের মন্দির শুরু। প্রজাসৃজন করতে হবে। রাজা মন্দির বানাতে টাকা দিচ্ছেনদেওয়ালে দেওয়ালে কামসূত্র খোদাই। দেবতা সূর্য। আলো। বাইরে  কাম। আসবে, দেখবে এবং ফিরে গিয়ে বংশবিস্তার করবে। মন্দির হলো না, হলো না।

"...sometimes even both are behind the doors and the beautiful room is empty.”

সুন্দর সর্বদা শূন্য। সুন্দর পূর্ণ হতে পারে না। হলে সে সুন্দর হবে না। আদতে কেউ নিজে নিজে সুন্দর নয়দেখার চোখ সুন্দর করে। অনুভব সুন্দর করে। গড়ে তোলে  শূন্য থেকে সকলে নিজস্ব সুন্দরগড়া খসে যেতে থাকলে কুৎসিত বেরিয়ে আসে। দুটি তীর এক নদীর। একবার এদিক একবার ওদিকে জল ধাক্কা খায়। নাম বদলে যায়।

"গাছে উঠে বসে থাকি। ফল খাই। ব্যক্তিমানুষের দিকে
আটি ছুঁড়ে মারি। নিচে হাহাকার পড়ে যায়। বেশ লাগে।"

বাক্যের মধ্যে ব্যক্তিমানুষ ছিল। সাত আট রকমের কম করেও। একেকজনার একেক পোশাক। আপাতত বরফের নিচে সব। ফুটে ওঠার কোনো খবর এ পাটে আসেনি।

“sleep is the most innocent creature there is and a sleepless man the most guilty.”

অপরাধের ঘরে বাদামের খোসা পড়ে আছে। অযথা ঝিনুক দিয়ে সাজানো সমুদ্র স্থবির হয়ে গেলে তাকে পাহাড় বলে ডাকা যাবে।


"সব ফুলই কি গোষ্ঠীগত, সব ফুলই কি চাঁদের
একটি দুটি আমায় চিনুক, বাদবাকি সব তাঁদের
গাছ তো তাঁহার বাগানভর্তি, আমার রোপণ ছায়া
প্রবীণ তাঁদের ভালোবাসা, আমার বাসতে চাওয়াই।।"

নীরবতা কিছু লেখা থাক। সব বোঝানো যাবে না মিলেনা। সব বাঁও-এ জল মিলেনা। কিছু নদী শুকিয়েছে প্রস্তরযুগের পাশাপাশি। কেউ কেউ উড়ে চলে গেছে।

“I am always trying to convey something that can’t be conveyed, to explain something which is inexplicable, to tell about something I have in my bones, something which can be expressed only in the bones.”

ফ্রান্‌জ কাফকা, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু নৈরাজ্যের রেস্তোরাঁয় কিছু তামাক খেয়েছিলেন; বাক্যের সরলরেখা ভেঙে উঠে এসেছিল ট্র্যানজিশনাল শটস, শর্টহ্যান্ডে যাকে প্যাস্টোরাল মনে হবে।







0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন