১৮) শিমুল আজাদ

শিমুল আজাদ

জীবন প্রবাহ


স্কন্ধে বাড়তি বোঝা
মন অভিমানী।

বাড়তি হাতের ব্যবহার,
ঘর্মাক্ত শরীর।

যতটা উদার,
ততোটা ক্ষতির ভার-
প্রতি পৃষ্ঠা জুড়ে।

দুটি চোখে দৃশ্যময়
অসংখ্যের রঙিন দৃশ্যাবলি।
 
দুটি পায়ে বাড়তি পথভার-
জড়িয়েছে অজানা ধূলোরাশি।

পরিত্রাণ প্রত্যাশায়

এতকাল মানুষের বোধ বিচারের প্রতি
শ্রদ্ধা রেখেই ছিলাম; এখনোও উপায়হীন-
এক যাত্রায় হাঁটছি।
যদিও ক্ষয়-ক্ষতি প্রবল;
তদুপরি নিন্দুকই সহযাত্রী।

যদিও আমাকে বিদ্ধ করেছে-
নিন্দার অব্যর্থ তীর,
বিষাক্ত কাঁটার খোঁচা,
ছিদ্র করেছে-
নিন্দার চমকপ্রদ রাইফেল।

আর সত্যি এই যে, এযাবৎ-
নিন্দাঘর গড়ার সাধনায় যারা ব্যস্ত-
আমি তাদেরকে ঠিকঠাক চিনিনি।

প্রায়শঃ আমি নিন্দাঘরের সন্মুখে
ডানে-বামে চক্কর দিই,
সেখানে কোনো আলো নেই!
সত্য নেই;
আছে সুন্দরের বিলুপ্তিময় হাসি--
উদ্দেশ্যের ফাঁদ;
আর অজস্র চোরাবালি।

যদি আর একবার যুবক হতে পারতাম!
তবে নানা ছেলেমানুষী ভুলে,
আমি শক্ত হাতে জীবনের হালটাকে ধরতাম।
মাটি কর্ষণে লাঙ্গলটাকে প্রচণ্ড শক্তি ও কৌশলে-
ধরে রাখতে পারতাম।

যদি আরেকবার জন্ম নিতে পারতাম!
তাহলে শুরু থেকেই নানা গুণ,
স্বাস্থ্য-সম্পদে, নানা ভাষা ও কৌশল আয়ত্বে-
অগ্রশীল মানুষের কাতারে সোজা হয়ে দাঁড়াতাম।

যদি আরেকবার ভালোবাসতে পারতাম!
তাহলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যুবতীকেই ভালোবাসতাম।
ভালোবেসে দশদিকে ছুটতাম;
আর নিশ্চিত বাহন হিসেবে পেতাম-
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছোট্ট বিমানটকে।
আর তাতে চেপে অবতরণ করতাম-
খেয়াল-খুশির নানা বন্দরে।
সমস্যা-সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতাম-
অসহায় জাতি সকলকে।

যদি আরেকবার জন্ম নিতে পারতাম!
প্রযুক্তিতে উন্নত,
ধন সম্পদে সমৃদ্ধ কোনো দেশে!
তাহলে নিশ্চিত সম্পূর্ণ পৃথিবীটাকে-
পালটে ফেলতাম প্রতিরক্ষার সর্বোচ্চ ব্যুহে-
অসাধারণ শৈল্পিক বিন্যাসে।
সব রকম ভেদাভেদকে হটিয়ে-
শান্তি ও সমৃদ্ধির গান শোনাতাম জনে জনে।

যদি আরেকবার পারতাম জন্ম নিতে...