কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

রঙ্গীত মিত্র

আমার এগারোটা উপলব্ধি


ব্রা আর ডেনিম লেডিস যা কিছু
দূর থেকে হিলে আর পলকে
আমাদের একা বসা ব্যাড হ্যাবিট
বিয়ে করে শেষ হওয়া নাবিকের
নাকছাবি বিলিতি মদ আরো বিষয়ক
দ্বীপ না পেলেও আগুনের হৃদয়
আমাকে ধাপ্পাবাজ বলে
চরকিরা ঘুরে যায়
এবং আমার লেখার ঘোরে ধাক্কা মারে আমার বাবা।
কারণ আমাকেও মিডিওক্রেসির বুট পরতে হবে
না হলে যে আমি তোমার মনের মতো হতে পারব না!



এক

জল ছাওয়া রঙিন দিন ডুব দেওয়া
গানবাড়ির দোতলাময় একা আদর
লিখে যাওয়া সোনামনির লাভবাইট
মনের রাজা সেই তো হয় যাদের কাছে

জল ছাওয়া রঙিন দিন ডুব দেওয়া
ইয়োরোপের দিনকতক স্লিপ খাওয়া
সময়ঘড়ি পুজোর দিনে প্রোপোজালের
উপাসনায় বিঘ্ন ঘটে তোমার চুমু

জলছাওয়া রঙিন দিন ডুব দেওয়া
রেনি ডে স্কুল পরীক্ষার আগের রাত
বিয়োগ শেখা দিনিমনির রাগ ভীষণ
ইমেজারির রাজা ও রানী, প্রাণ-ভোমরা

জল ছাওয়া রঙিন দিন ডুব দেওয়া
টারমিনাস এসি খারাপ রুগ্ন বাস
যানজটের লম্বা চুলে স্লোগানময়
সুরের প্রেম প্রেমিকারাও বন্ধু হোক।



দুই

আওয়াজ লেগে থাকা সময় মিনার
পরীদের যাদুঘর থেকে খসা তারা
বিশ্বাসের অবহেলা বার বার ভাবে
বৃষ্টিময় অ্যাসিডের কেন কারসাজি
অফিসের বারান্দায় তবু কেউ নেই
চাওয়ালার ফেলে রাখা চায়ের গেলাসে

আওয়াজ লেগে থাকা সময় মিনার
পরীদের যাদুঘর থেকে খসা  তারা
লিপস্টিক লেগে থাকা সিগারেট ছাই
গোপনীয় প্রেম নিয়ে পরকীয়া প্রেম
ওঠা নামা বাড়িঘর পালতক স্বপ্ন
আমাকে আঘাত করে মেট্রোর লাইন


আওয়াজ লেগে থাকা সময় মিনার
পরীদের যাদুঘর থেকে খসা  তারা
হাজরা মোড়ের বাসে তোমায়  প্রথম
পরীক্ষা নামের স্কুল রিবকের জুতো
জেটপ্লেন এঁকে দেয় আকাশের সীমা
হুমকির টেলিফোন বিচ্ছেদ মানে না



তিন

চলে যাওয়া সেই অচেনা শহরে
তোমায় দেখে কেউ অবাক হবে না।
কুয়াশা ট্রেন তবু জার্নি রেখায়
দূরের মৃত্যু তবু যাত্রাপথে ডাকছে
এতদিনের বিষাদপাড়া মায়াবী
আমাকে তুমি শেষ কি কথা লিখেছো


চলে যাওয়া সেই অচেনা শহরে
তোমায় দেখে কেউ অবাক হবে না।
নাম বদল নাম বদল মৃত্যুর
ঘুঙুরে শোক খাবার নেই শূন্যতা
রেডক্রেসের লোকজনের ওষুধ
কোনটা কার কে কোন দল জানি না

চলে যাওয়া সেই অচেনা শহরে
তোমায় দেখে কেউ অবাক হবে না।
তবু লড়াই চলছে দিন রাতের 
প্রতিবেশির মৃত দেহের উপর
হিংসা চোখ রক্ত চোষা বিকেল
জন্মদিনে আঘাত হানে যুদ্ধ



চার

বালিতে নিয়ে নির্মিত আমার শুক্রাণু
পেট্রলের মতো আমার যৌনখিদে।
আমি হয়তো তোমার থেকে কম জানতে পারি
কিন্তু আমাকে আন্ডার এসটিমেট করে কি ঠিক করলে?
ভেবেছো দূর থেকে আমি দেখে যাব
আর তোমরা এই রাগবি খেলায় জিতে যাবে?



পাঁচ

তোমার গায়ে আলো তোমার খ্যাতির সুর
তোমাকে দেখেছি আমি মহিলাদের ভীড়ে
তোমাকে দেখেছি কাগজে টিভিতে।
রাজনীতিতে গোল্লা পেয়েছি বলে
তোমার সাথে আগে বাওয়াল নিয়ে বুঝেছি
সূর্যকে নামিয়ে
তুমি একাই আগামীকাল হয়ে যেতে পারো।



ছয়

তুমি যদি প্যারালাল হও
আমি তবে সিরিজ।
তত্ত্বকে নতুন ভাষা দেখিয়ে
একটু ছেলে খেলা
এভাবেই লেখা যায়।
আমার এই গবেষণায় সৃষ্টির অনুচক্রিকার বাচ্চারা
নতুন কিছু শিশু বানাক, এই আমি চাই।



সাত

কবির  লেখায় কি মধু থাকে;
লেখার সমুদ্রে
আমি শুধু পতাকা বহন করেছি।
ঈশ্বরকে বলেছি আমাকে মধু দাও।
যোগাযোগ, পুরস্কার এইসব আমি কিছুই চাই না।
দিপুদাকে ভুল প্রমাণিত করে
তোমাদের সব প্রেডিকসানকে শূন্য করে দেব



আট

শুদ্রককে ফোনে পাচ্ছি না।
ছেলেটা বড় ভালো।
ওর ফেসবুক স্ট্যাটাস স্পর্শ করে
আমার মাউস।
আমি সৈকতকে ফোন করি।
অর্ণবকে ফোন করি।
এমন কি অনন্যাকেও 
তবু শুদ্রক ফোন ধরে না।
১৩ নম্বর রাস্তা দিয়ে আমি
আমার বান্ধবীদের পালাতে দেখি।



নয়

ফুল্লরাদি, মৌমিতাদির সাথে দেখা হয়নি কতদিন!
বরুণদা কেমন আছেন?
জয়শীলাদির লেখা বাকে পড়ছি।
অরূপদার লেখা নতুন কবিতায়।
বইমেলায় গিয়ে দেখি আমাদের অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়দা
একই রকম আছে।
আর ওই তো অমিতাভ প্রহরাজ, সম্বিত বসুরা...
এর ভিতর থেকে বাতাস জানায়
কৌস্তভের ছবি কানে যাচ্ছে।
আজন্মটা আর ও বানালো না।



দশ

অনেকদিন বাদে জিয়া ফোন করল
প্রশান্তর সাথে বাওয়াল।
সংহিতা দেখা করলোনা ।
আমার বান্ধবীর চাকরি নেই।
সম্রাটদা এমন একটা সময় ফোন করে জানালো
জিন্সের কোমরের উত্তর ও দক্ষিণ মেরু।
বিকৃতি দেখছি আমারও ভালো লাগছে।
একজন মহিলা মদের দোকানে লাইন দিচ্ছে।
সোমা তবু এপাড়াতে সিগারেট ধরাতে পারে না।
তবু আমি বিদেশি সিনেমা দেখি।
আমরা আন্তর্জাতিক বলেই
নিজেদের সরলরেখায় নিয়ে আসি।



এগারো


আমি আমার এক বন্ধুকে বলেছিলাম
পরকীয়া আমার খুব ভালো লাগে।
আমার খুব ভালো লাগে
স্কুল থেকে বেরিয়ে আসা মেয়েদের।
আজকাল ক্লাস সেভেন আর ৩৫ বছরের ভিতর কোনো পার্থক্য নেই।
তাই পেজ থ্রি আর গেমস নিয়ে সবাই খুব উৎসাহিত। 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন