কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়

নির্বাসন

যে বড় বিশ্বাস নিয়ে ছোট্ট ছায়া আলোর নিয়ম ভাঙে,
সেই অনিয়মে নির্বাসন তোমার৷
আরণ্য সভ্যতা আমি, কাশ্যপ পুত্রের মতো সরল সন্তান জন্ম দেব৷
সমস্ত আকাশ তাই রৌদ্রে আত্মবিলয় করেছে৷
আত্মসৃম্তি আত্মীকরণ করেছি...
আলো অক্ষ রেখাটি সাদায় সাদা, কালোয় চেতনাহীন -- জল কি তাহার চেনা অচল পাতাল?
জল জানে না নিজের গ্রাম, নাম... আলো চেনে না পাতালঘর,
অগ্নি নিয়ে সতিা মিথ্যে অব্যহতি খেলা, শুদ্ধ নারী অবিশ্বাসী রাবণ ছুঁয়েছে নারী!
রাজপুত্রের অবুঝ মন পঞ্চবটী বন, পাতালে সে জন্ম দেয় নতুন প্রতিধ্বনি৷
জানকী জেনেছে তার বিশ্বাস স্বামীটি একরোখা, পাতাল ছায়ায় নামছে আগুন সুখ গেল তার পুড়ে,
সীতা কি রামের কৃষ্ণকথা? আলোর ঐচ্ছিক আলো?
বুঝেছি আমিও রাম অন্ধ -- শীতলছায়ায় রবি রশ্মিহীন কালরাত্রি এক...
রাবণ বিশ্বাসী রাজকীয় আলো, রাক্ষস হয়েছে রাজকবি -- কোনো রহস্যের ছলে অযোধ্যার মান ভাঙে!



একা

আমি একা গৃহত্যাগী... সন্ন্যাস খুঁজেছি কেন মিথ্যাসুখে?
চাঁদ তুমি কি পেয়েছ ধ্রুবনক্ষত্র ধ্যানস্ধ মোমপরী? সূর্য তুমিও রয়েছ একা সূর্যপোড়া ছাই হয়ে৷
কর্ণ জানে না তাহার পিতা...
একা বাতাস জল আমাতে বিকাশশীল, যদি ঈশ্বরী কবিতা লেখে
জলকে বানাবো নুন বিদ্যুৎ৷
ধূ ধূ মাঠে রাখালের বাঁশি তুমি, কোথায় তোমার গ্রাম? নদী?
অমান্য বাতাস এলে তোমাকে দেখাব আমি একাই প্লাবন৷
বাঁশিটি বাজবে যেই, নদীমাঠ গুহাবাসী জলে হবে গৃহবাসী৷
শুধু জানি আমি এক খেলা খেলা সুরে বেজেছি রাখাল হাতে৷
বৈমাত্রেয় বাতাসের যুদ্ধ বন্ধ হলে সন্তানকে বলব আমার পাপ ওই সূর্য
সেই তোমাদের পিতা 
বিধাতা বিমুখ হতে দেখেছি প্রশ্ন উত্তরহীন কেন সূর্য একা, চন্দ্র একা, গ্রহণে আসেনি রাহু৷
আমি একা আলো হয়ে ভাসি জলে,
দোলায় আমায় দু: যত
তবু সব তারা আলোপথ পৃথিবীর, আমরা পথিক মাত্র - নবসুখে মনোমুগ্ধকর,
কেন না আমি তো জানি বাতাসের পিতা কে! জলের পিতা কে!
অন্ধ কলম লেখে তার বার্তা৷


আত্মহত্যা

আচ্ছন্ন মেঘের ঢেকে যাওয়া আলোয় নিজেকে করেছি খুন৷
আলো সব বিভীষিকা আকাশচারীর প্রেত, তোমাকে দেখাব যমরাজের করালচিহ্ন৷
ছায়া ছায়া অন্ধকার বেশে কাকভোরে ভোর এলে অনুতাপে লিখি নিরুত্তর অনুভব৷
আঘাতী দেহটি তার কুসুমশয্যায় থমথমে মনে থৈ থৈ জলে ভাসে আর ডোবে
কী করুণ ব্যথা ছিল বুকের খাঁচায়
বিফলে জীবন খোঁজে অন্য এক পরলোক, পঞ্চকোষে কি মুক্তি পেল মন?
অশুভ অশান্ত যত যমচিহ্ন মানুষের মনে খুন করে মন৷
ভালো আর মন্দ বিভাজনে ডুবু ডুবু মানুষটি অলোচিত হয় অবশেষে৷












0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন