কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

রাজিয়া সুলতানা

বেহিসেবী
আজ আর নয়।
আঙ্গুলের নির্দেশ যেদিকে ঘুরছে
সেদিকে হেলছে পৃথিবী
কার্টন কার্টন সিগ্রেট শেষ হয়ে গেল
ধোঁয়ার নিকোটিন
আবার ছড়াচ্ছে বিষ।
ঘুম নেই।
হিটলার-মগজের সার
অংকুরে ঢেলেছে কি স্বাদ
এখন সে বৃক্ষের কারবারি
কারো নামধারী।
সৈন্য-সামন্ত, তূর্য-নিনাদ
দেখেছে পৃথিবী
ভীষণ সে ব্যাকফায়ার।
ইতিহাস নগ্ন লজ্জা সে ঢাকে না কারও।  
শুধু এক অর্বাচীন ব্যাধিনীর তীর
সুস্থির টার্গেট
ভুলে যায় সারোগেট
লালনের ফাঁকি।
একদিন ক্লান্তিরা আসে-
একদিন মেলাতে হয় সবকিছু।
একদিন ঋণ, রক্ত
পরিশোধের দিনগুলো হেঁটে আসে
হিসেবের খেরোখাতা রক্তমাখা হাতে।


ছায়ানৃত্য

একবার ঝরে গেলে
আর কি হবে দেখা
ধূলোমাটি দেহ
সারাদিন এক
জলের প্রবাহ
কয়ে গেল কথা।
এসে ধার ঘেঁষে
সে আমাতে মেশে
শোনায় রূপকথা
কোন সে দেশে ছিল
আবার যাবে কোথা!
আমি তো চাই জড়াতে।
শেকড়ে বাকড়ে, ঘাসে
কেউ পারে না আটকাতে।
ঝুরঝুর বালি, জলের নেশা
সমুদ্র সিঞ্চনে, মেটে না মেটে না।
জন্মাবধি এক অন্ধ চেতন, শূন্য উদাস।
পরিযায়ী পাখি আততায়ী হলে
বিশ্বাস বলে কিছু থাকে না থাকে না।



ক্রস-প্রোডাক্ট

দখলের মহড়া।
সশস্ত্র উল্লাস।
উঠোন কেঁপে ওঠে
পদভারে
আমিও উঠেছি দাঁড়িয়ে
অন্যধারে।  
কবর-ডাকবাক্স-সব ঠিকানা
এসে ফুরোয় যেখানে
সেখানে পাঠাচ্ছ তুমি চিঠি,
ওয়ারেন্ট
বিনা অপরাধে
সহস্র হাজারে।
অন্ধ ঘর
দেখো না চোখে
চাবি হাতছাড়া হয়ে গেলে
সে দরোজা খোলে
জ্ঞান-পাপ
ভুল তাপ
একদিন করোটির খোল
ঠুকে দেয় সভ্যতার ঢোল
হিটলার, রুজভেল্ট,
চার্চিল, স্ট্যালিন
তোমার কে হয় গো?

আইন্সটাইনের ছিল মহতী উদ্যোগ
সময়ের চিঠি কেউ খোলেনি সময়ে।
ইতিহাস বারবার পড়
তবু ভুল কর
দেনা বহু হয়েছে জমা
সে শুধু তোমারই
এক আশ্চর্য নিউরণে
মস্তিষ্কে বাড়ো
ধ্বংসস্তূপের নিচে
পৃথিবী বড়  
ছোট হয়ে এসেছে ধীরে।
চাইলে
কালি ও কলম ছাড়াই
জানতে তো পারো!




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন