কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়

এক্সপ্রেসন



সাপের ফোঁস। কিম্বা বাঘের হালুম। আপনি কোন ঘরে ফেলবেন, ভয় না সাহস? অবশ্যই সাহস। শহীদ সাহসকে সামনে এনেছে। বুকের সামনে লোহা লোহা মনে হয়েছে। বলেছে গুলি কর। আদতে সাহসের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে যা দেখি তা কি ভয় নয়? ওই যে মানুষটা ঝাঁপিয়ে পড়ছে বাঘের উপর। ও তো ভয়ের ছবি। নিজেকে বাঁচাতে পারার প্রবল ভয়। তাহলে যা কিছু এক্সপ্রেসন আমরা দেখি তা আদতে  উল্টো। এই যে মা রেগে যাচ্ছে, আমি ভাত খাচ্ছি না। আসলে ওটা স্নেহ। এইভাবে গড়াতে গড়াতে প্রেমে এসে থমকে গেছি। প্রেমের যে এক্সপ্রেসন বাজারে চালু, তা কি আসলে অন্য কিছু?
বিখ্যাত অভিনেত্রীর স্বামী রাতে ঘুমোতে পারছে না। শুধু এই ভেবে যে, এক্সপ্রেসনের তফাৎটা কোথায়। কোনটা সিনেমা আর কোনটা জীবন! মাঝে মাঝে সে হালুম  দিচ্ছে। নায়িকা ততদিনে বুঝে গেছে। হালুমে শুধুই উম। স্বামী ক্রমশ অসুখ হয়ে যাচ্ছে। ভাবছে কীভাবে লোককে নকল থেকে সাবধান করবে। কোথায় মারবে ‘আর’  চিহ্ন। কে বলবে শিশু এরোপ্লেন দেখে ভয় পায় নি। এমনকি বোমের সামনেও হাসছে। এত সাহস তার! নাকি সে হাসছে ভয়ে! মা কে খুঁজছে। আমরা টিভি বন্ধ  করে দিচ্ছি।
আমেরিকার কুখ্যাত সাইকো কিলার হাসতে হাসতে পলিথিন চেপে ধরছে বউয়ের মুখে। আসলে হাসি নয়। পলিথিনের ভাঁজগুলো দেখ। কান্নার দাগ লেগে। তবে কি প্রকৃত কান্না খুঁজে পেতে দাগ প্রয়োজন? পলিথিন প্রয়োজন? কুকুর বিড়াল ছাগল কেউ পারে নি হাসতে। তারা আপনাকে খুশি করতে সাইকেল চালিয়েছে। আপনি ভেবেছেন সার্কাস। ওরা ভেবেছে ইহজন্ম। ইদানীং কুকুর পলিথিন খায়। সে বুঝে গেছে পলিথিনই অমোঘ। নায়িকার স্বামী এখন বিরাট ব্যবসায়ী। দেশের সত্তর শতাংশ পলিথিন তার কারখানায় চাষ হয়। এখন আর কেউ ঠকাতে পারে না। চেয়ারে বসে ইন্টারভিউকর্তা  প্লাস্টিকে মোড়া সার্টিফিকেট দেখেই বুঝে যান, এই চাকরিটা তোমার কত জরুরী!




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন