কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

খায়রুজ্জামান সাদেক

ছিন্নপত্র

ছিন্নপত্র শয্যায় কালসিন্ধু জলে ঘুরে দাঁড়াবার বেলা দৃপ্ত কিছু নেই। তাই পরতে পরতে জমেছে জখম। নিখাদ নির্ঘণ্ট ভাঙে নভোনীলে। কেমন নিমেষ ছায়ায় জল ভাসে একাকার। একচোট বিমূর্ত রাত্রি চুরি হয় পাখিদের ঠিকানায়। আর নিঝুম নিশানায় অর্থহীন ইতস্তত করে আলোর সাম্পান। বেলা কাটাবার বেলা স্পর্শ এক ঠুনকো অবহেলা মেঘ হয়ে ধুয়ে যায়। চুম্বক অস্তিত্ব তুলে হইচই। একে খানিক প্রবোধ দাও অথবা রেখে দাও খননে তোমার। দেখেছি বিশোধক মণিকার মূর্ছিত হলে শুধু শূন্যদৃষ্টি তার প্রিয়বিরহ হয়ে থাকে। পত্রপতনে বাজে ঢাকের আওয়াজ। - এই তো মিয়ানো পরিখায় দগদগে ঘাতারপরও শুনি হাড়ের ভিতরে এবার পত্রোদ্গম। একপদ অশ্রু মিলে মণিকাঞ্চনে। মুকুলে মুকুল ছুঁয়েছে। রঙ তার দিব্যদেহে। পুষ্পসংসার ও সংজ্ঞাহীন হয়। খুচরো হাতে ছড়ানো অঞ্জলি। তৃষিত তেড়েফুঁড়ে ওঠো নিঃশেষ। নিমগ্ন চিত্ত পুষে বায়ুবেগ। দর্প পূর্ণতরঙ্গে কেমন আবার ডাকে আবার ডাকে...




মাহফিল

ভক্তের কাছে অভক্ত মাত্র তুলকালাম মাহফিল থেকে ধ্রুব রোষ সফেদ চাদরের ওমে জড়িয়ে যাচ্ছে খুব লাল ইটের রাস্তা ধরে হাটঁতে হাঁটতে ছড়ানো সুগন্ধের মাঝে স্থির   হচ্ছে অলৌকিক নির্মাণ ভিতরের ঘুমঘুম চোখ বেগবান নদীর মতো ফুলে উঠছে  আশ্রয়অর্থে পৃথিবী নির্মল অথচ এই তর্কের কর্ক খুললেই গড়িয়ে যায় তরল কোনো 
সাধুচিন্তা বা প্রতিক্রিয়া নয় আমার অস্পষ্ট বিষয়জ্ঞান থেকে কানে বাজছে প্রার্থনার সুরমহাফেজ স্পষ্ট জানেন ব্যাখ্যা নির্ঘাত জটিল হচ্ছে এসব অসংখ্য সংখ্যার ভিতর জলকাচা আলোচনায়। সঘন মেঘের ডাকে ঐচ্ছিক আভাষে কাঁপে নিমগ্ন সময় আমি কি এড়িয়ে যাচ্ছি নিজেকে অথচ দেখছি এভাবে জল ঘোলা হয় ধ্রুবলোকের জ্যোতি চোখেমুখে মানুষগুলোর অন্তর খাঁটি বলেই ভিড় বাড়ছে খুব তত্ত্ব  তথ্যের  পারদ থেকে সংবেদনশীলতা থেকেমহাজাগতিক সৃষ্টির নৈপুণ্য থেকে গোটা বয়ানে ভাগ হয়ে যাচ্ছে অ্যাটলাস জীবনের পাথরবাটি কটূক্তি সহ্য করেই গেছে যোনি চিবিয়ে  গণিতের নাভিতে উঠে পরমাদ হে সহনশীলতা তুমি তো সাম্যের ভিতরে আছ  শবানুগমনে আছো নির্জলা শস্যের ভিতরে আছো নিরাবরণ তবু কেন জলকামানের মুখ তাক করা আছে মত প্রকাশে বাধা নেই অথচ এর ইঙ্গিতময় সরল বিবেচ্য টেনে কেন কালো করছ জোরকদম খাবারের ডাক থেকে সস্মিত ফিরছে না তাই অস্থির ভিতরে ঢুকে পড়েছে নির্মম চাকু সৎকর্ম সারাংশ হলে সমরকৌশলের এই প্রস্তাবনা মূলগ্রন্থ ছিঁড়ে তুমি যেটুকু দেখাও তাও বাদানুবাদে বিবাদ থেকে যাচ্ছে পলির মায়া ফিকে হয় না বলেই  বিকাশোন্মুখ নদীর মেধা লক্ষ্য করেছি এভাবেই গড়ে উঠে মাছের আবাদ মাছের কথা যখন বলি, বিকাশোন্মুখ নদীর কথা বলি  নদী মরে গেলে শাসনের জন্য রাজলক্ষ্মীর মানচিত্র দিয়ে শূন্য নৌকা যায় হাঁড়িকুঁড়িতে যে সমীকরণের পাশে নিত্য দাহ হচ্ছে প্রত্যয়-প্রার্থনা করি তোমার মঙ্গল হউক হে স্খলিতচরণ গলার পেশীর দরদাম থেকে রুক্ষতা যখন কাল হয়েছে তখন হে ক্ষমতাবান তোমার শুভার্থী  পার পাবেনা জেনো  পক্ষাবলম্বন নওল স্রোতে নচেৎ ভেসে যায় আর পুনঃপ্রদান মনঃপূত হলে পূর্ণচ্ছেদ  থেকে জাগে চাঁদ তাই ত্যাগের মহিমা  ভিখারির আর্তনাদ নিস্পন্দ পরিহাস হতে  পারে না হে দয়ালু হে মহানতুমি এই অনাদায়ী ঋণ গ্রহণ করো যেসব সম্মিলিত  প্রার্থনা তুমি গ্রহণ করো বা করেছ তার ভিতরবৃষ্টি হোক উজ্জ্বল হোক আকাশ  আলোকবর্ষের কাছে তুলে দেই প্রাচীন প্রবাদ যে সত্য জেনেছ তানিয়ে কোনো বিতর্ক   নয় শুধু দুঃখ মোচনের বেলা তোমার মুখে একটু স্নিগ্ধতা চাই এবং আরও  যেখানে বিঁধেছে পত্রকন্টক সেখানে শুশ্রূষা চাই প্রবৃত্তির শিখরে বসে আজ দুর্বল বচন জড় বিকারে 
শয্যাশায়ীদৈববাণীর মহাবিশ্ব থেকে বাসযোগ্য শ্রেয় অংশটুকু রেখে দাও  সমাগমে ঝাল এবং ক্রোধ নয় মানুষের পুনর্মিলনে জেগে উঠুক মানুষ এখানে অষ্টাঙ্গ তোমাকেই নিবেদন করছে সমূহ আচার...



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন