কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

শর্মিষ্ঠা ঘোষ

ধন্যবাদ  

ঘৃণা করতে করতে আমায় ভুলে যাচ্ছ তুমি
তারজন্য কি ধন্যবাদ দেওয়া যায়?
আদরের বকুনি দিয়ে ভুল শুধরে দেন যিনি
তাকে ধন্যবাদ দিলেও কম পড়ে যায় 
মায়ের হাত ছেড়ে নিজের পায়ে চলা শিশুটি
ধন্যবাদ তো দিতেই শেখেনি তখনো
তর্কের ছলে কয়েক কদম ঋদ্ধ করা বন্ধুটিকে
সবার জন্য শপিংমলের দরজা খুলে ধরা লোকটিকে
রেস্তোরাঁয় খাবার সার্ভ করা বয়টিকে 
ঠিকে কাজের জন্য অনেকদূর উজিয়ে আসা মহিলাকে
একলা বাড়িতে বৃদ্ধ বাবার দেখাশোনা করা আয়াকে
এমন অনেক ধন্যবাদ দিতে ভুলেই যাই অহরহ 
সহজাত অধিকারে বা বিনিময় মূল্যে পেয়ে যাই বলে
দেওয়াই হয় না অনেক ধন্যবাদ যথাসময়ে
এইসব অজ্ঞ জনপদ এইসব দুর্বিনীত অন্ধকারে
একা একা হাঁটতে গেলে নজরে পড়ে অকৃতঘ্ন দিনলিপি
ভরাপাতা কাটাকুটি করে আর নতুন অক্ষর বোনা অসম্ভব 


                
বিলাস

বিচ্ছিন্নতা একটি জমকালো বিলাস 
নিজের চারদিকে অলৌকিক অরাবের হয়
কেউ কেউ সম্ভ্রমে তাকায় কেউ আরো দূরে সরে যায় যারা হাততালি দেবে বলে ভাবছেন, তারাও ঠিক সময়মতো মিশে যায় জনজোয়ারে লাখো পায়ের সঙ্গতে কোরাসে আর উদ্দীপনায় রংচঙে  বেলুন আর ফেস্টুনে যে হরমোন ক্ষরণ হয় তাকে ফেরোমন বলে, বৈজ্ঞানিক তথ্য চাহিয়া লজ্জা দিবেন না শুধুমাত্র তাকিয়ে দেখবেন আপনার নিঃসঙ্গ গজদন্ত মিনারের পাশ দিয়ে তারা যখন যায়, আপনি খুঁজে পাবেন না হাতে হাত রাখার মতো একখানিও হাত বিচ্ছিন্নতা বিষণ্নতার জনক, আপনি আরো বইমুখী তাত্বিক হয়ে উঠবেন, নেপো এসে আঙ্গুল তুলে বলবে, পরিত্যক্ত মানুষ





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন