কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

ঊষসী ভট্টাচার্য

নিরুত্তরের খাম

রাত বারোটার মরা কান্নার স্বরে,
টেলিফোনের তার গেছে কেটে।

চেনা হুঙ্কারে ছুটে এসেছে ডাকপিয়ন- 
ঘড়িটা টিকটিক করতে করতে                 
থেমে গেছে একেবারে।

ফ্রিজের লোডশেডিঙে শহর জুড়ে
শীতল কুয়াশা, আর
ঘুম ঘুম গন্ধ প্রেম কার্নিশে।

একটা পূর্ণচ্ছেদেই যখন সমস্ত নীরবতা
ছড়িয়ে যায় প্রান্তর –
তখন চেনা পিয়ন ভুলে যায় চেনা পথ,

তাই আজ আর কোনো চিঠি আসে না!


অ্যালকোহলিক প্রেম

রুদ্রর মাতাল স্মৃতিচারণ
আমার রোদ্দুরও ছাই করছে পুড়িয়ে,
নিতান্ত বাক্সবদল খেলা-
তাই এ যাত্রা রক্ষে পেল লোহিত কণিকা
নয়তো কবেই বিছানা ভাসিয়ে নদী ছুটত ধমনীতে,
রাত দশটার কলকাতা জানে
টলতে টলতে মাতাল প্রেমিক কীভাবে
চুমু ছুঁড়েছিল প্রেমিকা শাড়িতে,
আর জানে সেই ল্যাম্পপোস্ট
গণিকালয়ের বাইরে আজও
কোন অপেক্ষায়
ঘরের বউ চোখের জল মোছে...

তবু, রুদ্রর মাতাল পা
টলতে টলতে ফিরে আসে দরজায়

শরীর আর শরীর
স্তন-ঠোঁট-চোখই কেবল
বদলে যায় পরতে পরতে
আগুন চিঠিতে জ্বলন্ত দাবানল হয়ে পরে থাকে,
চিরন্তন প্রেমিকা হৃদয়,
যে চিঠির উত্তর আসে না,
প্রশ্নপত্র লেখা হয় জন্ম থেকে
প্রতি মুহূর্তের মৃত্যুতে...


বনমানুষ

বনপলাশীর বন্য চিবুক
অন্য কি কেউ ধরতে পারে
বন্য মানেই আদিম পোকা
গুমরে আছে খাদের ধারে

খাদ মানে সেই জলাশয়ের
বিকেল বিকেল নদীর কথা
ভর দুপুরে ভাঁটার টানে
জোয়ার আনে উচ্ছলতা...

আঁচর

কবিতার খাতা, এলোমেলো অক্ষর!
নীল পেনের প্রুফ চেকে -  রুদ্র।

খামোখা ছাপোষা শব্দগুলো উলঙ্গ হাত বাড়িয়ে,
পোষ মানাচ্ছে;
এক একটা বর্ণ ক্রমশই তার ডালপালা বিছিয়ে
শৃঙ্খলিত করছে আমার সমস্ত পরমায়ু

কখনো হয়তো উঠে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু তারা নিঃশেষ করলো -
গ্রাস করলো আমাকে

আমি একটা সমগ্র উপন্যাস হয়ে যেতে পারতাম,
রুদ্রর পেনের আঁচর আমায় -
মৃত্যুহীন কবিতায় পরিণত করলো। 













0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন