কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

ফেরদৌস নাহার

ভ্যান গগের জ্বর

ভ্যান গ বসেছিলেন এইখানে, জলের দরজা খুলে, সৈকতে পোশাক রেখে নেমেছিলেন জলে, সেই থেকে জলের ছবিগুলো বড় বেশি নীল মনে হয়তারপরও সূর্যমুখীর মুখ কেন এত হলুদ লাগছে বলো তো                                                                                                                                                                                                             
 ভিনসেন্ট পুড়েছে জ্বরে, তার চোখে সূর্যের আলোকপালে জলপট্টি দিয়ে সারারাত বসে আছি পাশে, আহারে কেন তার এত জ্বর এ্লো! কেন বোঝে না সূর্যমুখী সে যে  ব্যথার গহন তাপে কেঁপে কেঁপে ওঠে, ঝরে পড়ে আল্পসের বনে
সারারাত ভুল বকে ভোরবেলা ঘুমিয়েছে সে, ডেকো না তাকে। রঙের স্বপ্নমাখা কোনো স্বপ্ন দেখছে হয়তো, ঘুমঘোরে জ্বর এঁকে যাচ্ছেতার নিশ্বাসের শব্দ খুব অন্যরকমের  অচেনা লাগছেএবার থিউকে লিখে দিতেই হলো একবার আসতে 


থিয়েটারে বসবাস

ভালোবাসা এক ধরনের ভিখিরিপনা                                                  বেহদ্দ বাতাসে ওড়ে তাহার  জামা                                                 প্রাণ ভরে না তাই 
প্রাণের সাথেই চলে কাঙালপনা
 
প্রেতাত্মারা লাফিয়ে চলে আমার বিবাহ বাসরে। অনেকেই ছিল কিন্তু দেখতে পায়নি  সকলে। কেউ কেউ বুঝলেও বলেনি আমাকে, আমি যে দেখেছিলাম বলিনি কাউকে।  ভ্রমণ ছিল না সেসব, কেবল ইতিউতি ঘুরে মরা। মন মতো কিছুই হলো না

বাজনা বাজানো ভিখিরি। তোমার সুরের প্রার্থনা সব সময় ব্যাগ বা পকেট পর্যন্ত পৌঁছয় না, হৃদয় তো বহুদূর কান ও ইচ্ছার মাঝেও আছে যোজন ব্যবধান 


অসামান্য উপবাস

কেউ আমার খোঁজ নিও না, আমি এখন নিখোঁজ আছি। 
তামাদি এই কানুন ঘিরে, তুলোট বাতাস এঁকেবেঁকে আসতে চেয়েও আর এলো না   নিখোঁজ জীবন অনেক দূরে অপেক্ষাতে, দোলাচালে এপাশ ওপাশ করে শেষে, শিকড় থেকে মূর্খ                                                                              রাতের ব্যথা মুছে, পাশ ফিরে শোয় হলফনামা মুচড়ে ফেলেএভাবেও জীবন কাটে, দীর্ণ দিনের দীর্ঘশ্বাসে হাসতে হাসতে, হাসতে  হাসতে                                                                                                                                                                                             লিখেছিলে, শরীরের যত্ন নিও। তা কী করে হয়! আমার কোনো শরীর নেই, তাই যত্নও নেই। আমিও যে তোমারই মতো অশরীরি


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন