কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

অপরাহ্ণ সুসমিতো

কোথাও হানাহানি নেই

আজকে ছুটি। সকালে এত্তগুলো ভাত খেলাম, এখন সাড়ে এগারোটা, এখনি খিদে  লাগছে! এরকম খাই খাই করলে তো আমি শালগম হয়ে যাব! আমি একটা পাতলা বেতের লাঠির মতো শরীরে অভ্যস্ত, ওহ নো ওয়ে শালগম হতে চাই না!

কাল প্যান্ট কিনতে গিয়ে আমার কোমর মেপে বলে ৩১ আমি হতবাক হয়ে গেছি অসম্ভব, ৩১ হতে পারে না! ২৮ পরে ২৯এর প্যান্ট কিনে এনেছি।

বিরক্তিটা আমার মাথার উপর প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর মতো ঘুরছে। বিরক্তি এক পর্যায়ে রাগে টার্ন করে। এই যে এখন আমি রাগ করে আছি এ জন্য এমন খিদে লাগতে পারে।
আমি সারাদিন মুখে একটা কথাও বলি না, কিন্তু মাথার ভেতর এমন খোশগল্প! এত   শব্দহীন বাচাল আমি!
আমার বড় বোন এবং মা অনেক কথা বলে, অনেক। চিন্তাও করা যাবে না কত বেশি।
আজ ভোরবেলা সপ্ন দেখেছি, আমি প্রেগন্যান্ট...

(মোবাইল ফোনে লিখছি তো, সঠিক বানান লিখতে পারি না, তবে সঠিক বানাটা আমি জানি কিন্তু)

এখন আমার পেট সাম্রাজ্যে ব্যথা। অনেক। আমার ভাতার আমাকে সাহস দিচ্ছে। আচ্ছা ভাতার কেন বললাম, একটু ভেবে নিই। ও তো আমাকে ভাত দেয় না! আমি চাকরি করি। ও বোঝাচ্ছে এভাবে বিজ্ঞান, কিন্তু আমি পারছি না। 
ঘুম ভেঙে গেল। তারপর বুঝলাম আমার টয়লেটে যাওয়া উচিত।

একটুখানি ফেসবুকে ঢুকেই মাথা ঘুরে উঠলো। ফেসবুক হলো বিষণ্ণতার মন্ত্রণালয়। এত স্ট্রেস!
তারপর ডিঅ্যাকটিভেট করে বের হয়ে আসলাম।

তারপর ভাবলাম আমি বুড়ি হচ্ছি এবং আর কোনো আশা-নেই দলের মানুষ হয়ে গেছি।
দুপুরে না খেয়েই তোমার জামাকাপড় লন্ড্রিতে দিছি। আলমারি গোছাইছি। সোয়েটার চাদর একসাথে, হাফপ্যান্ট টি শার্ট একসাথে, পাঞ্জাবি একসাথে, আর যেগুলো ফেলেও দিতে পারছি না কাজেও লাগবে না, সেগুলো পেছনে আলাদা। তোমার জামাকাপড়  গোছাতে আমার ভালো লাগছে।
সংসার সংসার লাগছে, নিজেকে পরিণত নারী বোধ হচ্ছে, এরকম মনে কোরো না,  বুঝলে? যারা অন্যের মোজা আর আন্ডারওয়ার গোছায়ে বেড়ায় তারা এই দুনিয়ায় ম্যাটার করে না।

তুমি সাকিব আল হাসান বা জাফর ইকবাল হও, অসুবিধা নাই। আমি সাকিব আল  হাসান বা জাফর ইকবালের বউ না। আমার কোনো সামী নাই। দুনিয়ায় কেউ কারো সামী না। সামী একটা ভুল সিস্টেমের ফলাফল...

(পুনশ্চ: মোবাইল জনিত বানান)

*
তুমি শুক্রবার সারাদিন শুয়ে না থেকে চুল দাড়ি কাটায় আসতে পারতে। প্যান্টটা ঠিক করাতে দিতে পারতে। আমার সাথে কুইকি সঙ্গম করতে পারতে। তোমার জুতাটা কালি করতে পারতেআগামী ৭ দিন কী কী পরবা সেগুলো ঠিক করে রাখতে পারতে।

কিছুই করো নাই।

তুমি ধরেই নিছো এইগুলো কেউ করে দেবে, বাই ডিফল্ট কাজগুলো হয়ে যাবে। আর যদি না হয় তাহলে দরকার নাই। এর মানে হচ্ছে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করা যে করে দাও। যেই কাজগুলোর কথা বললাম তার সবগুলো করতে ১ ঘন্টার বেশি লাগতো না, কিন্তু তুমি করোনি।
এইজন্য তুমিও আসলে একটা সো কলড পুরুষ। খালি খালি ভদ্রতা চোদাও!

প্লিজ এরকম কোরো না। এই দেশে থাকো তাই তিন পয়সা দিলেই কাজের বুয়া  পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশ হলে তুমি চিন্তা করতে পারো যে কী করে চলতো?

আমি এই প্রত্যেকটা কাজই করে দিতে পারি। আমারও ১ ঘন্টার বেশি লাগবে নাকিন্তু আমাকে কি তুমি বলতে পারবা যে এগুলো আমার কেন করা উচিত?

একটা যুক্তিসংগত কারণ?
আমি জানি ভেতরে ভেতরে তুমি খাড়া পুরুষ অথচ মুখ ফুটে কিছুই বলবে না পাছে তোমার প্রগতি বিনষ্ট হয়!


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন