কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

ফারহানা রহমান

ক্ষত

নিমগ্ন ডুবে থাকি গভীর তরঙ্গ বোধে...

বিস্মৃত উপমাগুলো যেভাবে নিবিড় নৈঃশব্দের শরীরে মিশে ছিল চুপচাপ,  

আর একে একে নিভে যায় নিরালায় ভোরের শিশির মেখে স্তব্ধ শূন্যতায়

আবছায়া আলো চোখের পাতায় মেখে থাকে সন্ধ্যার কবিতা

আর কত ক্ষত তৈরি করবে এই বিমর্ষ শহর  

কত নিঃসঙ্গ চোখের উৎসুক মুখ ঝুলে থাকবে শূন্যতার আদলে!

 

 

চোখ

কাঁঠালচাঁপা রঙের সুরভিত এক সন্ধ্যায় 
উল্কি আঁকছি তোমার চোখে জ্যোৎস্নার ঘোরে  
বুকের ভিতর কাসপিয়ান রহস্যের আঁধার   
এতটুকু আশ্বিন আসেনি হৃদয়কুলে
নদীচোখে নির্জনতা
আর যত অবাধ্য ভাবনা
থেকে থেকে বর্ষা নামায়
চোখ! সে তো প্রবাহিত নদী
রক্তিম নলীতে প্লাবন হলে বাঁচে!


স্মৃতি

সেই আধখোলা জানালা দিয়ে আজও দেখি আমার অব্যক্ত অতীত
মসৃণ মোমের মতো গলে গলে পড়ে রঙিন সুতোর টান
ঝি ঝি ডাকা শর্ষেরাঙা সন্ধ্যায় আঙুলের অনুরাগ জমেছে 
বেদনার স্মৃতির শার্সিতে


শূন্যতার মোহ

ঘুরে চলে যে চাকা শূন্যতার মোহে 
আল ভাঙলেই কি ভ্রমণ থামে তার?
চাকার ভ্রমণের নেশা মিশে আছে শূন্যতার ঘোরে
শোকের বুদবুদে যেমন ঝরে 
ভিখিরির মাতম  
পদ্মগন্ধের গভীরে যে ক্ষত গুঞ্জনরত
বিষধর সাপের রোমন্থনের মতো
শ্রাবণের পিপাসায় –
বুঁদ হয়ে থাকি সাকির আদর মেখে
সুবর্ণরেখায়


অনুরাগ

 

মমতার বাথান ভেসে আছে স্নানঘরে 
এস্রাজ বেজেছিল স্পর্শের শিরার নহলে
ঝর্ণার তরঙ্গের সঙ্গমে
অনুভূতির বাহাস সাজিয়ে রাখি ঐশ্বর্যের অনলের মাঝে
টুপটাপ দু-একটা ঝরে পড়ে অনুরাগ
যে যাবার যাক
আমার ভাসান অতলে



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন