কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

তাপসকিরণ রায়

জীবনানন্দ

দেখো প্রতিটি ভোর যেন তোমারই জন্যে ফিরে আসছে
রাত ফিরে আসছে তোমার পুলকিত বিছানায়
জানলার ওপারের তুমি, আমি দেখে নিচ্ছি।
এক কঠোর ইচ্ছায় আমরা স্বয়ং নির্যাতিত লাঞ্ছিত
মনে তোমার ধর্ষিত হবার আতঙ্ক--ওদিকে তোমার স্বপ্নের মানস ছাতায়
উড়ে যাচ্ছে বেলুন  
আবার পলকে ধর্ষিত হয়ে যাচ্ছে নারীর বাথান।
ফানুস মনের মানুষ আসলে সেইখানে, তুমি অনায়াস টেনে নিতে পারো
দূরের আকাশ কিংবা রাতের চৈতন্য।  

জীবনানন্দ ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে, আবার চেতে তোমার দেহ গড়ে উঠছে
মন খালি নেই দেখো সে বিরহের কথা ভাবে
মুখমন্ডলগুলি একই রকম নারী পুরুষের বেশে সাজানো
তুমি যখন তীব্র দহনে তুমি জ্বলে যাচ্ছ দেখো
খা খা বুকের দুপুর বিরহ ব্যথার এক চৈত্র জেগে উঠছে
আবার বার্ষা আসে, চৈত্র ফেটে বৃষ্টি নামে ঝুম ঝুম
আষাঢ় যতই শাসাক, নেমে আসে তোমার বুকের বারিধা।  


ভান

শিশির চৈতন্যের রাত জেগে ওঠে
ভয়ের মধ্যেও আনন্দ আছে জেনো--রোমাঞ্চে যখন তুমি কেঁপে উঠলে
তোমার চারদিক তখন অন্ধকার।
কি চুরি হল তুমি জানতে পেলে না--
অথচ জান না কতটা আপন ভান তোমায় ধর্ষিত করে চলে গেছে !
ভোরের জেগে ওঠায় একটা নিষ্পাপ ভাবনা থাকে।
বিগত দিনের কথা ভুলে যেতে চাও--অথচ ভুলে থাকা তোমার নিয়ন্ত্রণে নেই,  
সে জেগে ওঠে--রাত চরিত্র তুমি চিনে নিতে পারি নি--
আমিও যে ছিলাম বড় দুর্বল !      


দেহ

দেহ ছেড়ে গড়লে শুধুই কি স্বপ্নের কেলিফুল পড়ে থাকে ?
আকাশের শ্যাওলা ছত্রাক মাটির স্বপ্নগুলিতে এসে অনায়াস মিলে যেতে পারে--   
 কেমন ভাঙাগড়া খেলা !
তার মুখ ঢাকা ছিল, লজ্জা জড়ানো দেহ ছিল
তাই চিনে নিই--সে তুমি সে তুমি !

কখনও তোমার সান্নিধ্য ঢলে যায়--বয়সের লতায় পাতায় শাখায় প্রশাখায়
তোমার শিরা উপশিরার জেগে উঠছে গ্রীবা চিহ্ন--
এক নিঃস্ব নারীর কথা।
ভালবাসা ছুটে যায় দেহে দেহে
তোমার বাসনা ঘ্রাণ চাই আর সমাপন।    


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন