কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭

পলাশকুমার পাল

সেল্ফির  কথা

একটা গিরগিটির পাশে দাঁড়িয়ে আয়না তুলতেই
মাইকেরা ক্যাসেটে সেঁধোয়,
আর পতাকার ভাঁজ থেকে ঝরে কাঁটা
রামধনুর জলকণাতে প্রশ্ন ছুঁড়ে
ভাষণেরা ভাসানের মতো ধুয়ে যায় গঙ্গায়...
তারপর শান্তিজলের নীচে চোখবন্ধ মুহূর্তেরা
মন্ত্রকে ঢিঙিয়ে খোঁজে সেল্ফির কথা...


কুষ্ঠের  হাত

গলা টিপলে এখন আর দুধ বের হয় না
বের হয় গর্ভধারিণীর রক্ত
তাই গলাটেপা রাজপথের দু'পকেটের মাঝে
মিছিল হাঁটে চেনের মতো...
"চেন খুললেই সাপ বের হবে" বলে,
অথচ অলস হাত চেন খোলে না
লেখে না দেশলাইয়ের মতো পদ্য-
কিশোরেরা প্রেয়সী শহরের শরীরে প্রেমে এঁকে
অলি-গলিতে চুমু কেনে...
ফুটপাত শূদ্রের মতো চতুরাশ্রমের ইতিহাস-
লেখে না কেউ তাকে,
ভাঙে না কেউ তাকে,
গোটা হয় না ভাঙা আয়নার নিটোল গদ্য!


রাতের  কাক

পূর্ণিমায় উড়ে এসেছিল যে কাক,
তারই নখের আঁচড়ে কম্পাসে আঁকা বৃত্ত চাঁদা হলে
সমকোণে  পিঠ ঠেকিয়ে ঠাকুমার গল্পেরা
তারার ধারাপাত মুখস্থ বলে...
মাদুরে রাখা রুটি ঠোকারাতে ঠোকরাতে
সে ঝাড়ুদার চাঁদকেও ঠোকরায়,
এভাবেই একদিন গামলার জলে অমাবস্যা নড়লে
ডানাগুলো গলে রাতে;
কলমের কালো রঙে কালো মলাট
ম্যাজিসিয়ানের মতো হাসে



ক্ষুধার্ত  পিয়ানো

উনুনের পাশে ক্ষুধার্ত পিয়ানো আগুন খোঁজে
একটা সুর সেঁকতে...
আঙুলে ঠেকে না কোনো  জ্বালানী এই পাঠ্যপুস্তকে-
তাই ইতিহাসের অডিওতে কান পেতে
দেয়ালের রক্তঝরা শোনা আর
স্বরলিপি লিখতে লিখতে
ক্ষুধা থেকে ওড়ে মৃত প্রজাপতি...
বারান্দার দড়িতে শূন্য আঙুল শুকায় শব ভুল,
নীচে ড্রেনের ঘেউ ঘেউ মিয়ে যায় আগামীর শর্তে


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন