কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

পৃথা রায় চৌধুরী

-ঘোরময়ীর পশ্চাৎমুখী বিবর্তন    

পাতা খুলে খুলে আলগা হয়েছে বাঁধন
কিছু ছেঁড়া ঠিকানাহীন নিরুদ্দেশ...
খুঁজি না;

ঘুমোতে লাগে নেশা ধূপগন্ধী... ভুল হয় না
কুৎসিত মন চাই একবার, ঘোর কুচক্রী
ভণ্ডামির চরমে অট্টহাস করতে চাই...
এই গো মানুষেরা, তোমাদের মতো হয়েছি,
হয়েছি এবার?

নাড়ির হাতছানি আসুক, ফিরে আয়...
আয় বেঁধে ফেলি ফিরে শেকড়, রক্তনালী জুড়ে জুড়ে
বহু অন্ধকার পার হয়ে ফিরে যাই বয়েসের ফিরতি ছুটে
আলো আলো ভেজা উৎসে

এগিয়ে আসুক অ-প্রাণ দিনরাত।


দুর্মূল্য অন্ধকারবিলাসী

ছায়া খুঁজছি দেওয়ালে দেওয়ালে... নেই; বড় বেশি আলো।
এখন আমার অন্ধ হবার সময়।
অনেক অনেক দূর পর্যন্ত দেখে চোখদুটো নাগাড়ে দম টানছে,
তর্ক করছে নিজেদের মধ্যে, তারা অ্যাজমা আক্রান্ত, নাকি অ্যাস্থমায় ধরাশায়ী।

আমার বাগানে এই ঘোর বর্ষায় শুধু সাবাই ঘাস,
ঢেকে যাচ্ছি, ঢেকে যাচ্ছে আমার শঠতা
যা শুধু তুমি বোঝো...

অথবা ভুলে যাচ্ছি তোমার হইহই হাসির একদৃষ্টি!
কোকিলের সেই মাঠ এখন শুধু দাপিয়ে যায় জলপর্দার বর্গী।

আমার শাপিত রেটিনা কর্নিয়া আর
মগজের বেহায়া কোষেরা পরপর এঁকে ফেলে
যা যা দেখতে চাই না, সেসব। ঠিক সেই মুহূর্তে এসব বলে ফেলতে নেই।
বলে ফেললেই পাঁচিলের সীমানা...
বহুকাল যাওয়া হয় না কোনো রবিবারের কোলে।

খালি দোলনায় রেষারেষি থাকে না, যদিও সে আমার ভারি প্রিয়।
মন দিয়ে ঘৃণিত স্বাধীনতা ভোগ করি।
দিন দিন বিপদ হয়ে দাঁড়াচ্ছি... এই রায়।
একটু লোডশেডিং হোক না, হোক না একটু... এই এতটুকু নিকষ?
এত আলো ভালো না।
সেই হ্যারিকেন আর লম্ফর আলো চাই, ফ্রিতে
ছায়া পাওয়া যায়, ইয়া বড়ো বড়, কাঁপা কাঁপা,
যেগুলো লুকিয়ে নিতো কেমন ভয়ভয় আদরে।

যে জিভে লেগে আছে আহা ষাট, সে নাকি অভিসম্পাতি?
দুধদুধ আদরের কালিপড়া রান্নাঘর নেই, নেই রাবণগুষ্ঠির হাঁ উনুন... মাটির।
চাই, সেসব চাই। অ্যাকশান রিপ্লে হবে কীভাবে এসব না পেলে?
কার বাবা যেন ওপাশে চীৎকার করে উঠেছে, 'তোর শরীরে এত গরম?'
কার স্বামী যেন বলেছে... কার বর যেন বলেছে...

থাক থাক! এসব ক্ষতে বরং অ্যালোভেরা কাজ করে কিনা দেখা যাক।
শব্দের গোলকধাঁধায় নির্বোধ চাইছ আমায়, ফেলে দিচ্ছি বোধশক্তি, তাবৎ ইন্দ্রিয়,
তবু কানফাটানো ভেসে আসে 'নোংরা আঁস্তাকুড়!'
নাঃ! গাছের ছায়া হলে চলবে না, শীগগির সেই দত্যিদানো ছায়া এনে দাও।
মেয়েটা বড় ছ্যাঁচড়া, ভয়টয় কোথায় ফেলে এসেছে... ও এবার ভয় পেতে চায় একটু।


জলের নাম দিয়েছিলে?

জমাজলে মিশে যাচ্ছে একেকটা স্ট্রিটলাইট
আর তার পথ সরে যাচ্ছে দূর থেকে আরো দূর
মিলিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টিসেতু।

ঘেঁটে ঘ হচ্ছে জলছবি আকাশ;
প্রশ্ন আসে, নারকেলতুলি, না সুপুরিতুলি?
ইদানীং কাজলের ওপর চিপকে বসেছে জোড়াকাঁচ।
অদ্ভুত পছন্দ কিন্তু! ডাইনিচোখ, তাও বাঁধন...

খিদে পেলে খাও,
খাও সাংকেতিক বাজের আছড়ে পড়ার উন্মত্ততায়
আকণ্ঠ ডুবে যাচ্ছে ভেজা পথঘাট বেমালুম রাহী
গর্জনের শান্তিতে ফালাফালা গোধূলির আমেজে পালাপালি
উদাত্ত কিছু জয়-শ্রীজাত...
উদাত্ত কিছু সে, স্তিমিত কিছু... কিছু।

ঘুরপথে সন্ধ্যেধারা বাঁচিয়ে পেরিয়ে যাওয়া অনেক জমা খোয়াব
কীভাবে যেন পায়ের পাতা তখনো শুকনো রাখা!




1 কমেন্টস্: