কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বর্ণশ্রী বকসী

সরগম  

সুর সাধি তানপুরাতে সাজানো সরগম
বেহেস্তের পরীর ডানায় ঘুম ভাঙানি যাদু
এখানে মাতাল ঝড়ে উত্তাল বনভূমি
শালপাতায় নৈবেদ্য সাজিয়ে মারাংবুরু কথা,
আদিম লতাগুল্ম জানে অতীতের অব্যক্ত
কথার রেশ, বর্ষণ শেষের মাধবী বিতানে
প্রতীক্ষা, নবোঢ়া বধূর বেশে মাঠ ভরে ওঠে,
হেই মানবীয়া তোমার ঠোঁটের রঙ দুধ ভরা
ধানের শরীরে!


বানভাসি

জলের উতল ঢেউয়ে ভেঙে যায় পথ
নদী আপন ভোলা পথিকের অভিপ্রায়ে
ভাঙতে দুই পারাপার, ঘূর্ণির টানে
এঁকে বেঁকে চলে যায় বাঁশের মান্দাস!
তোড়ে আসা জলজ ধারায় আর্শির
বুক ভিজে যায়,ও পাড়ার পোয়াতি
মেয়েটি আঁকড়ে ধরে খুঁটির গোলাই,
বড় নির্দয়ী সৃজনের উৎস ভূমিটি
রিক্ত ক্ষেতের ধারে ফুটে ওঠে
পদ্ম ও শালুকের স্বপ্ন বাস্তবের প্রত্যয়ী রূপ।


তুমি

তোমার দেখানো রাস্তায় চলতে গিয়ে
মুখ খুঁজি পৃথিবী কন্যার,
অযুত লক্ষ বছর ধরে ক্রমাগত পরিক্রমণ,
গ্রহণ বর্জন শেষে ধরা থাকে নিপুণ অনুবাদ!
দেখতে জানতে হয় অতল গভীর খাঁচা
ভামরী নারীর রূপে রহস্য মদিরা
কী যেন বলতে চেয়ে খাবি খাওয়া
চিহ্নের দুনিয়া জুড়ে হিসেবের মিথলজি,
পড়ন্ত বিকেল জানে ফেলে আসা সময়
বিতস্তা নদীর ধারে গড়ে ওঠে নতুন সভ্যতা।


আপ্তবাক্য  

কিছু কিছু কথা থাকে সাগরের ঢেউয়ে
পিছু নেওয়ার আগে বিশ্বশ্রবা ভোর
সত্য ও তত্ত্বের মীমাংসা নিরূপিত হয়
চৌরাস্তায় থাকা ট্র্যাফিক সিগনাল,
লাল ও সবুজ আলো যাওয়া আসার
সংকেত, রুদ্রাক্ষ ছুঁয়ে শৈব সাধনা
সমীরণ জানে পাগল হওয়ার আগে
ধীরে ধীরে একা হতে থাকার কৌশল
সংকীর্ণ ভাবাবেগ দূরে ছুঁড়ে ফেলে
জড়িয়ে নেওয়া মানব সাধনার

অলক্ত কৌপিন আর খঞ্জনির মৃদু শীৎকার!

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন