কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

স্বপন রায়

কোয়েল বসত করে


(১)

ছেলেরা যেমন হয়। সাইকেল থাকলে ব্রেক লাগাবে এমনভাবে যেন কোয়েলে বসতে যাওয়া সূর্যের মনে হবে আরেকটু থাকি, হারামিগুলো আসছে। নামার সময় নামিয়ে আনে চাপ চাপ হুল্লোড়। কোয়েলে মেশে যা, তরঙ্গ হতে চায় যা। আমোদখেলাপি বিকেলে ঝুপ শব্দ এবার, জ্বলা সিগারেটের কোয়ায় সন্ধ্যা নামে। ছেলেরা গান ধরে, যেমন হয় আর কি, অশ্রাব্য। শুনেই চাঁদ কেলিয়ে ওঠে, ছিলিম ছিলিম হাসে, গাঁজাস্ট্রিপ তৈরি হয়, বীজ ফাটে ‘কায়নাদ’-এর...

(২)

যেমন হয় মানে? শর্টস-এ ফর্দাফাই চুলকানি আর কবেকার আণ্ডাকারির তামাশা রাখবে? এরকমই হয়, আর গিটার ফিটার দিয়ে ঢেকে রাখে পিস্তল, সংরক্ষিত জঙ্গলের। এই পুলওভারের উদাসীনতা, কোয়েল দিয়েছে। শীত আর ইস্তাম্বুলের কোনো কথা নেই এখন। কোয়েল ছেলেদের গরম খিস্তিগুলো, মোদো কাঁকড়াগুলো  ইস্তাম্বুলে পাঠিয়ে দিল। যেন, সাতটা পাহাড় পেরোলে রাঁচী, তারপরেই ইস্তাম্বুল...
যত নান যত না যত নুন যত নু কোয়েলে নীহার বানায়, ন আমাদের নোঙর ছিল। আমরা ছিলাম ন্যাস্টি বয়েজ, কোয়েল।

এল টাইপ বারান্দায় দাঁড়াতো, মেলে দিত একটা দুটো রোদ, সে আমায় কোনোদিন বা আমি তাকে কোনোদিন.... পিস্তল ঘুমিয়ে থাকে, আমরা ছেলেরা আর জঙ্গলের  দিকে যাই না, গিটার লিখে দিই তেঁতুল গাছটাকে, কাল পাখিরা আসবে... আমি, আমরা ডিম নিয়ে ভাবিতে শুরু করি

অনেক পরে জবাকুসুম ভোর হয়, রোজ যেমন হয় আর কি....


দেখা শোনা


(১)

দুই আর তিনে কত হয়?
তেইশ

আমরা বন্ধু হলাম। খাতায় নেমে এল উত্তর। আমরা এরপরে
নদির ডাক শুনলাম
          তেইশ চব্বিশ পঁচিশ

আমরা পেরিয়ে যাই। বন্ধুকে বন্ধু ভাবি, যেমন মাকে মা..

(২)

এদিকে দেরি হয়ে যাচ্ছে, খুব জোরে হাঁটছি, ট্রেন আসবে
আসবেই

বোতাম লাগানোর শব্দ
শিশির পড়ার
শব্দে
ভোর থেকেই আমি আর কিছুই জানি না, ট্রেন আসবে আসবেই

এখানে খড় আর আকাশ
শিঙা আর দামামা, নাচ আর মদ ছিল
এখন স্টেশন হয়েছে

আর ট্রেন, কেন আসবে না, আসবে
এসে চলে যাবে...

(৩)

আমরা বন্ধু, আমাদের জামার রং কী ছিল মনে নেই
                       সিঁড়ি যেমন হয়, গোধুলি লাগানো
আর উপরে তৃণা রাত্রি ইলোরা...
 তো এসব বাহানাই ছিল, কত ঘুরলাম
আমি আর দিলু, দিলু আর আমি তারপর লাগালাম
আলাদা আলাদা
দিলু বলল, তারটা ছিঁড়ে গেছে তৃণা
আমি বললাম, ব্ল্যাকটেপ হবে ইলোরারাত্রি ইলোরা রাত্রি নয়, ইলোরারাত্রি

সেদিন মেঘ এল, বৃষ্টি এল, আমি দেখলাম আর দিলুকেও দেখালাম
              যে স্টেডিয়ামটা তৈরি হচ্ছে, বাজ পড়ছে সেখানে
তার
ব্ল্যাকটেপ
রাত্রি ইলোরা তৃণা কেউ নেই, আমি আর দিলু , শুধু দিলু আর আমি
                                খুব ভিজেছিলাম
মাসখানেক পরে খুলে দেওয়া হলো স্টেডিয়াম
আমি আর দিলু, আমাদের গায়ে বাজ-পড়া জামা, চললাম
আমার অ্যাটলাস
দিলুর হারকিউলিস, দুজনেরই সাইকেলে ব্রেক নেই
বাঁদিকে...

(৪)

নেভিব্লু জিন্স আছে, নীরবতা আছে আর শুঁয়োপোকা লাগানো শীত

ইউসেবিও না পেলে
বন্ধুরা খুব জোরে কথা বলছিল, পেলে না ইউসেবিও
নীরব ভেঙে গেল
সিপিএম না কংগ্রেস, ভেঙে গেল যে নীরবতা সেখানেই চায়ের দোকান
                              অলস শুঁয়োপোকা আর চঞ্চল প্রজাপতির ভেতরে আমরা
নেভিব্লু আমরা, থ্রি স্পেড ফোর হার্টস, আমরা

মন আছে প্রজাপতির?
মনে পড়বে শুঁয়োপোকার গাভরা শীতের দিনগুলোয়
টয়লেট ওয়াশরুম না, বাথরুম ছিল আমাদের, পেলে না ইউসেবিও
                           ইউসেবিও না পেলে করতে করতে...



3 কমেন্টস্: