কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

জয়া ঘটক




প্রতিবাদ


একদিন আমাকেও অনেকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে চলে যাবে। সেদিনও সবাই চুপ করে থেকো!
একদিন আমার মুখও এসিডে পুড়িয়ে দেবে কেউ। চুপ করে থেকো। কিছু বোলো  না!
কোনো একদিন আমাকেও সবার সামনেই ধর্ষিতা হতে  হবে। সেদিনও তোমরা চুপ করে থেকো। কিছু কিন্তু বোলো না!
প্রেম বা কামের প্রস্তাবে রাজি হইনি বলে আমার মিথ্যে ছবি ইউ টিউবে আপলোড হবে। তখনও চুপ থেকো তোমরা।
একদিন আমার গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকবে পথের মাঝে। সেদিনও সবাই চুপ করে থেকো। কিছু বোলো না!
যেদিন তোমাদেরও দিকে ঘুরে যাবে সব বন্দুকের নল, এসিডের বোতল - সেদিনও কি চুপ করে থাকবে?


জীবন


এখানে স্থির জীবন
এখানে রাত্রি বজ্রাহত
এখানে শুধুই শূন্যতা
মৌনতার বড় বড় ঘড়া
এখানে সময় বাক্রুদ্ধ

এখানে শুধু উত্তাল মন

ঢিল ছুঁড়োনা   মৌমাছি উড়বে...


সভ্যতা


এত অন্ধকার ঘিরে থাকে!  ছিন্ন হাত, ছ্যাঁচা ত্বক, শিশুর কাটা আঙ্গুল, পচা-গলা মৃতদেহ ছুটে চলেছে অনবরত সভ্যতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। মেঘে ঢাকা তারারা চিৎকার দিয়ে কাঁদে... বাঁচতে চাই বলে! আমার ঘরের চাল টালির। তাই মাথা বাঁচিয়ে চলি! কখন ঢিল পড়বে! যার যায় তার যাবে। আমার কী?

ওরা কাঁদে। আমরা দায়সারা ভাবে মোমবাতি জ্বালিয়ে ভুলে যাই। নীরোর মতো সভ্যতার প্রতিভু আমরা জ্বলতে দেখি, পুড়তে দেখি আর বাজিয়ে যাই ভায়োলিন!

আমাদের সন্তানরা তো ভালো আছে। আমার  ঘর তো পোড়ে নি। কাটাহাত তো তাড়িয়ে বেড়ায় না আমাদের। সন্তানহীন মায়ের কান্না তাই হয়তো কানে বাজে না আর!

এত বন্ধু, এত আলো, এত শান্তি, এত ভালোবাসা তাই আর ছিন্ন স্তন, পচে যাওয়া যৌনাঙ্গ, কাটা আঙ্গুল আর কোনো উত্তাপ ছড়ায় না মনে। শুধু একটা শক্ত হাত পাই না  চেপে ধরার জন্য।

শুধু আমার সন্তানরা যেন থাকে নিরাপদে...

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন